1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নয়া পল্টনে সংঘর্ষের ঘটনা ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের চিঠি

১৩ ডিসেম্বর ২০২২

৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আটকের বিষয়ে ঢাকার সকল কূটনৈতিক মিশনগুলোতে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।

https://p.dw.com/p/4Krlt
বিক্ষুব্ধ বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশন
বিক্ষুব্ধ বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশি অ্যাকশনছবি: Abdul Halim

গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কূটনৈতিক মিশনগুলোতে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কেন আটক করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ব্যস্ততম সড়কে সেখানে সভা করতে চায় বিএনপি নেতারা। কিন্তু ছোট সমাবেশও ঐ এলাকায় যানজট তৈরি করে। এছাড়াও, সেখানে বড় রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হলে জনসাধারণের নিরাপত্তা, সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং সেই সাথে জনসাধারণের চলাফেরা মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

সেখানে সমাবেশের জন্য বিএনপি পুলিশের অনুমতি নেয়নি। তাদের কোন পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিও ছিল না সেখানে। রাস্তা অবরোধের ফলে নয়াপল্টন এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা তা অগ্রাহ্য করে পুলিশের উপর ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি যানবাহন ভাঙচুর শুরু করেন। পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। ফলে, পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন এবং একজন পথচারী মারা যায়।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের আটকের বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইচ্ছাকৃত ও পূর্বপরিকল্পিত হামলার সঙ্গে তাদের সম্ভাব্য যোগসূত্র যাচাই করার জন্য পুলিশ তাদের ডিবি কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সহিংসতার পরিকল্পনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দলীয় কর্মীদের উসকানি দেওয়ায় তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। সেদিন তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের জেলে পাঠিয়ে দেয়।

পুলিশের ওপর কয়েকজন বিএনপি সমর্থকের হামলা
পুলিশের ওপর কয়েকজন বিএনপি সমর্থকের হামলাছবি: Abdul Halim

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এর আগে রাজধানীতে নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা, সম্পত্তির নিরাপত্তা, জনসাধারণের চলাচল এবং সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জনসভা করার অনুমতি দিলেও তা তারা গ্রহন করেনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করে ভেন্যু কেন্দ্র করে বিএনপি একটি রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চেয়েছিল। বোঝা যাচ্ছিল ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত জাতীয় নির্বাচনের আগে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

চিঠিতে আরও দাবি করা হয় যে, কোন বাঁধা নিষেধ ছাড়াই দেশের নয়টি বিভাগে বিএনপি নয়টি সমাবেশ করেছে। ১০ ডিসেম্বর তারা গোলাপবাগ মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে৷

একেএ/কেএম