নোবেলে এখনো ব্রিটেনের পাল্লাভারি
৫ অক্টোবর ২০১০পদার্থবিজ্ঞানে ২০১০ সালে যৌথভাবে নোবেল পাওয়া দুই বিজ্ঞানীই রুশ বংশোদ্ভূত৷ আন্দ্রে গাইম নেদারল্যান্ডসের এবং কনস্টানটিন নভোসেলভ একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য আর রাশিয়ার নাগরিক৷ তাঁদের কর্মক্ষেত্র ব্রিটেন৷
জানা গেছে, ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই গবেষক ‘গ্রাফেন' নামে কার্বনের সবচেয়ে পাতলা এবং শক্ত রূপটি নিয়ে গবেষণা করেছেন৷
নোবেল পুরস্কার কমিটি পদার্থবিজ্ঞানে এই যৌথ নোবেলের যৌক্তিকতা এবং গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে জানিয়েছে, ‘দুই বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত কার্বনের এই নতুন রূপটি তার সুকঠিন স্বচ্ছ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই বর্তমান বিজ্ঞানে খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখবে৷'
তারা জানিয়েছেন, ‘স্বচ্ছ টাচস্ক্রিন কিংবা আলোকসংবেদী প্যানেল, এমনকি সৌরকোষ, যাই বলি না কেন এটি সবক্ষেত্রেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে৷'
গ্রাফাইট বা সাধারণ পেন্সিলে যে কার্বন থাকে সেই মামুলি কার্বন থেকেই আন্দ্রে গাইম এবং কনস্টানটিন নভোসেলভ তাদের গবেষণার মাধ্যমে এই সূক্ষ্মতম পাতলা এবং সুকঠিন নব-রূপ কার্বনটিকে পাদ প্রদীপের আলোয় প্রকাশিত করেছেন৷
সূক্ষ্মতম এক অণু পরিমাণ পুরু এই ‘নব্য-কার্বন' পদার্থ হিসেবে অতিশয় খাসা বস্তু৷ তাঁদের এই গবেষণা সম্পর্কে নোবেল কমিটির মূল্যায়নটিও চমৎকার৷ এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, গবেষকদের কাজের হালকা ঢঙের এই আমুদে ভাবটি দারুণ৷ কাজের প্রক্রিয়ার মধ্যেই শেখার বিষয়টি রয়েছে, কে জানে! এই হালকা চালে আপনিও হয়তো কখনো তাঁদের মত লক্ষ্যভেদ করতে পারবেন!'
জানা গেছে, পদার্থ হিসেবে এই কার্বনটি পুরোপুরি স্বচ্ছ অথচ এত ঘন যে, গ্যাসের সূক্ষ্মতম অণুও এর ভেতর দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না৷
এদিকে নোবেল অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, আন্দ্রে গাইম এবং কনস্টানটিন নভোসেলভ আবিষ্কৃত এই গ্রাফেন বা নব্য কার্বনটি দ্বিমাত্রিক বস্তুর গবেষণায় পদার্থবিদদের সহায়ক হবে৷ এছাড়াও এটি ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের বিবিধ গবেষণার ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যুক্ত করবে৷
প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন