‘নেশামুক্ত’ হতে পারেন যেভাবে
মদ, মাদকদব্য ও নানারকম ওষুধের নেশায় অনেকে এতটাই আসক্ত যে সেই সব ছাড়া তাঁদের একটি দিনও কাটে না৷ তবে থেরাপির মাধ্যমে নেশামুক্ত হওয়া সম্ভব৷ তারই কিছু উপায় জানাচ্ছেন একজন জার্মান বিশেষজ্ঞ৷
শুরুতে খুব ভালো লাগে বটে, তবে....
হতাশা বা কোনো কিছু ভুলে থাকা বা যে কোনো কারণেই হোক না কেন, মদ বা যে কোনো নেশাদ্রব্য প্রথম প্রথম খারাপ লাগে না৷ আর এই ভালো লাগাটাই মস্তিষ্ক অতি সাবধানে সংরক্ষণ করে রাখে৷ কিন্তু একটা সময় সংরক্ষণ করাও থেমে যায় এবং তার সঙ্গে কমে আসে ভালো লাগাটাও৷
জার্মানিতে নেশায় আসক্ত যাঁরা
জার্মানিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মদ্যপানে আসক্ত৷ এছাড়াও আরো ১৪ লাখ মানুষ আসক্ত ডিপ্রেশন, ব্যথা কমানোর অথবা বিভান্ন ধরনের ঘুমের ওষুধে৷ এঁরা এ সব ছাড়া একটি দিনও নাকি কাটাতে পারেন না৷ এ কথা জানান জার্মানির লিন্ডোসালুস ক্লিনিক-এর আসক্তি বিভাগের প্রধান প্রফেসার ইয়োহানেস লিন্ডেনমায়ার৷
শুরু হয় প্রতিক্রিয়া
তখন শুরু হয় কাঁপুনি বা ঝাঁকুনির মতো কিছু সমস্যা৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন নেশায় আসক্ত ব্যক্তিকে কেবলমাত্র পেশাদার থেরাপিস্টই সাহায্য করতে পারেন৷
স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানি দায়িত্ব গ্রহণ করে
হাসপাতালের এই চিকিৎসার খরচ জার্মানিতে সাধারণত স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানিগুলোই গ্রহণ করে থাকে৷
বেশি মদ্যপান করেন যাঁরা
তবে মদ্যপানে যাঁরা বেশি আসক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে নিরাময় কেন্দ্র বা হাসপাতালে কিছুদিন থেকে চিকিৎসা করাই যুক্তিসঙ্গত৷ এঁদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে আলাদা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নেশামুক্ত হওয়া যায়৷
ওষুধে আসক্তদের ক্ষেত্রে বেশ কঠিন
কিন্তু যাঁরা ব্যথা, ঘুমের ওষুধ বা ডিপ্রেশনের মতো বিভিন্ন ওষুধে আসক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে নেশামুক্ত হতে প্রয়োজন হয় অনেক বেশি সময়ের৷ কারণ এ রকম রোগীকে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলে জানান প্রফেসার ইয়োহানেস লিন্ডেনমায়ার৷
দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি
নেশামুক্ত হওয়ার পর কিন্তু আবারও নেশায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ এই আশঙ্কা মদ্যপানের ক্ষেত্রে শতকরা ৫০ ভাগ আর ওষুধে আসক্তদের ক্ষেত্রে শতকরা ৬০ ভাগ৷ এর জন্য অবশ্য সচেতনতা এবং শক্ত মনোবলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি৷