নেপালে প্রথমবারের মত পরীক্ষায় পাশ করলেন এক ‘দেবী’
৪ জুলাই ২০১০গত মার্চে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন৷ আর ফল পেলেন শুক্রবার রাতে৷ আর তাই তাঁকে অভিনন্দন জানাতে শনিবার মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা৷ দেবীও হাত মেলান তাঁদের সঙ্গে৷ যথারীতি দেবীর হাতে ছিল গ্লভস্৷ তবে বজ্রছারিয়া কিন্তু কোন স্কুলে শিক্ষা নেননি৷ মন্দিরেই তিনি লেখাপড়া করেছেন একজন শিক্ষিকার কাছে৷
দেবীরা সাধারণত সাক্ষাৎকার দেননা৷ তবে গত এপ্রিলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বজ্রছারিয়া ভবিষ্যতে ব্যাংক পেশায় যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সাধুরা সাধারণত নেপালের নেওয়ার গোত্র থেকে একজন কুমারী মেয়েকে জীবন্ত দেবী হিসেবে নির্বাচন করে থাকেন৷ তাঁরা কুমারী নামে পরিচিত হন৷ হিন্দুদের দেবী মা কালির প্রতিমূর্তি হিসেবে ভক্তরা তাঁদের পূজা করেন৷ নিয়ম অনুযায়ী, কুমারীদের একটি মন্দিরে জীবনযাপন করতে হয়৷ এসময় বেশ কিছু নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে চলতে হয় তাঁদের৷ যেমন লেখাপড়ার সুযোগ পাননা তাঁরা৷ এজন্য সমালোচকরা বলেন, মন্দিরে দেবী হিসেবে কাজ করার পর তাঁরা যখন সাধারণ জীবনে ফিরে যান তখন বাস্তব জীবনের প্রতিযোগিতার সঙ্গে পেরে ওঠেননা৷ উল্লেখ্য, বয়:সন্ধিতে ঢোকার আগেই একেকজন কুমারীর দেবী জীবনের পাঠ চুকে যায়৷ এরপর তাঁরা বিয়ে করতে পারেন, চাইলে করতে পারেন যে কোন চাকরি৷
তবে বছর দুই আগে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট কুমারীদের স্বাস্থ্যসেবা ও লেখাপড়া নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়৷ এরপর গত সপ্তাহে সরকার কুমারীদের শিক্ষা খরচ বহন সহ তাঁদের মাসিক খরচের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম