1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নীরবতা কোনো বিকল্প নয়'

২০ জুন ২০২৩

ডয়চে ভেলের ফ্রিডম অব স্পিচ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন এল সালভাদরের সাংবাদিক অস্কার মার্তিনেস৷ গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে পুরস্কার গ্রহণের সময় সাহসি সাংবাদিকতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘‘নীরবতা কোনো বিকল্প নয়৷''

https://p.dw.com/p/4SoGY
বন শহরে অনুষ্ঠানরত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে ২০২৩-এর পুরস্কার গ্রহণ করেন অস্কার মার্তিনেস
বন শহরে অনুষ্ঠানরত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে ২০২৩-এর পুরস্কার গ্রহণ করেন অস্কার মার্তিনেসছবি: Bjorn Kietzmann/DW

২০১৫ সাল থেকে ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে ডয়চে ভেলে৷ প্রথমবার এ পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌদি আরবের মানবাধিকার কর্মী ও ব্লগার রাইফ বাদাওয়ি৷ গত বছর এ সম্মাননা দেয়া হয় বার্তা সংস্থা এপি-র সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক ম্স্তিস্লাভ চেরভ এবং ফটোসাংবাদিক এভগেনি মালোলেৎকাকে৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সাহসি সাংবাদিকতার জন্য এ পুরস্কার দেয়া হয় তাদের৷

সোমবার বন শহরে অনুষ্ঠানরত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে ২০২৩-এর পুরস্কার গ্রহণ করেন অস্কার মার্তিনেস৷ তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ৷ এ সময় লাতিন অ্যামেরিকা অঞ্চলে সাংবাদিকতার ঝুঁকিগুলো উল্লেখের পাশাপাশি এলসালভাদরসহ সে অঞ্চলের সব দেশের সাহসি সাংবাদিকতার প্রশংসাও করেন লিমবুর্গ৷ তিনি বলেন, ‘‘এল সালভাদরে অভিব্যক্তি ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন বিপদগ্রস্ত৷''

এল সালভাদরের অনলাইন ম্যাগাজিন এল ফারো-র এডিটর-ইন-চিফ অস্কার মার্তিনেসের কথায়ও উঠে আসে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লাতিন অ্যামেরিকার সাংবাদিকদের মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাওয়ার প্রসঙ্গ৷

জার্মানিতে পুরস্কৃত হবার দিনটিতে নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাসসহ সেই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন অস্কার মার্তিনেস ৷ ৪০ বছর বয়সি সাংবাদিক জানান, নিকারাগুয়ার অনেক প্রতিবেদক প্রাণনাশের হুমকির মুখে রাতের অন্ধকারে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় তাদের কারো কারো বহু রাত কেটেছে পার্কের বেঞ্চে, সেই স্মৃতি স্মরণ করে এখনো অনেকে অঝোরে কাঁদেন৷

অস্কার মার্তিনেস ও পেটার লিমবুর্গ
অস্কার মার্তিনেস ও পেটার লিমবুর্গছবি: Bjorn Kietzmann/DW

গুয়াতেমালার পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবীণ সাংবাদিক হোসে রুবেন সামোরার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ডের কথা উল্লেখ করেন তিনি৷

হন্ডুরাসের এক নির্ভিক সাংবাদিকের আত্মত্যাগের বর্ণনা অস্কার মার্তিনেসের মুখে উঠে আসে এভাবে, ‘‘তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়, তারপর রাজধানীর খোলা রাস্তায় হত্যা করা হয়৷''

এলসালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে ২০২২ সালের মার্চ সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন৷ তারপর থেকে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়৷ এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার মানুষকে জেলে পুরেছে বুকেলে সরকার৷

শুধু তা-ই নয়৷ দু সপ্তাহ আগে এল সালভাদরের পুলিশ প্রধান বলেছেন, তার বাহিনী খুব শিগগির সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে৷

অস্কার মার্তিনেস এসবে বিচলিত নন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘অন্ধকার যত বেশি, সাংবাদিকতার প্রয়োজনও ততই বেশি৷'' তার একটাই কথা, ‘‘নীরবতা কোনো বিকল্প নয়৷ যত বড় মূল্যই দিতে হোক না কেন, তা (নীরবতা) আজ আমাদের পছন্দ নয়, কোনোদিন হবেও না৷''

এসিবি/ কেএম