1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের একদিন আগেও বিক্ষোভ অব্যাহত মিশরে

২৭ নভেম্বর ২০১১

আর মাত্র একদিন, এরপরই মিশরে নির্বাচন হতে যাচ্ছে৷ কিন্তু সামরিক পরিষদের বিদায়ের দাবিতে কায়রোতে বিক্ষোভ থামছে না৷ অন্যদিকে নির্বাচনের পর সামরিক প্রশাসনের অধীনে নতুন সংসদের কর্তৃত্ব কতটুকু হবে তা নিয়ে এখন সন্দেহ তৈরি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/13I0u
)
নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অন্যরাছবি: dapd

সব মিলিয়ে মিশরের পরিস্থিতি এখন বেশ ঘোলাটে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিদায়ের পর ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মাদ হুসেইন তানতাউয়ি এখন দেশটির কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন৷ কিন্তু মিশরের জনগণ আর সামরিক কর্মকর্তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না৷ তাই এই মাসের মধ্যভাগ থেকে আবারও শুরু হয় ব্যপক বিক্ষোভ৷ এই বিক্ষোভ দমাতে সামরিক প্রশাসন স্বভাবগতভাবে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে৷ ফলে ৪২ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে৷ আন্তর্জাতিক মনোভার টের পেয়ে কিছুটা নরম হয়েছে ফিল্ড মার্শাল তানতাউয়ির নেতৃত্বাধীন সামরিক পরিষদ৷ তবে কায়রোর তাহরির চত্বরে এখনও হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ চলছে৷

Ägypten Demonstration auf dem Tahrir-Platz in Kairo Flagge
তাহরির স্কোয়্যারে সেনা শাসক তানতাওয়ি বিরোধী বিক্ষোভছবি: dapd

তবে এইসব বিক্ষোভরত মানুষ ঠিক বুঝতে পারছে না তারা আসলে কী চায়৷ অনেক বিক্ষোভকারী বলছেন, নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী কামাল গানজুরিকে পদত্যাগ করতে হবে৷ তবে তাঁর পরিবর্তে তারা কাকে চায় সেটাও তারা বলতে পারছে না৷ অনেকের অভিযোগ, এই গানজুরি সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের আমলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন৷ তাই তাঁকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় না তারা৷ অনেকে আবার নোবেল বিজয়ী এল বারাদেইকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়৷ এই নিয়েও মিশরের রাজনৈতিক দলগুলোর কোন মতৈক্য নেই৷ তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, বিক্ষোভকারীরা সামরিক প্রশাসনের কবল থেকে মুক্তি চাইছে৷ তারা চাইছে নতুন কোন কার্যকর বেসামরিক প্রশাসন মিশরের ক্ষমতায় আসুক৷

এদিকে এই অবস্থাতে আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার প্রাক্তন প্রধান এল বারাদেই জানিয়েছেন, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে রাজি রয়েছেন৷ এবং এজন্য তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়াবেন৷ তাঁর এই আশ্বাস সামরিক পরিষদকে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এদিকে সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য মাহমুদ শাহিন জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের পর যে সংসদই আসুক না কেন, সরকারের ওপর তার কোন ক্ষমতা থাকবে না৷ তার এই বক্তব্যের পর নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সংশয় জেগেছে৷ নির্বাচনে ইসলামপন্থী ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি জয়ী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাদের মুখপাত্র মাহমুদ গোজলান দাবি করেছেন, নির্বাচনে যে দলই জয়ী হোক না কেন তার সঙ্গে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে৷

এদিকে মিশরের সামরিক পরিষদকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স৷ ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ক্লদ গিও বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি মিশরের কর্তৃপক্ষ আইন শৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষা করবে এবং সময় হয়েছে বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার৷''

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান