নারী ঢাকিদের বিপ্লব
এক সময় পুজোর ঢাক বাজাতেন কেবল পুরুষরা। এখন নারীরাও তাতে অংশ নিচ্ছেন। তেমনই কিছু নারীর কথা আমাদের ক্যামেরায়।
দল বেঁধে মণ্ডপে
কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে এবার কাঁধে ঢাক নিয়ে নেমে পড়েছেন নারী ঢাকিরা। বছরকয়েক আগেও যা কল্পনা করা যেত না।
ঢাকের তালে
তারা শুধু ঢাক বাজান না, ঢাকের তালে নাচেনও। বাংলা ঢাকের ঐতিহ্য মেনেই তারা কাঁধে ঢাক নিয়ে তৈরি করছেন নানা কোরিওগ্রাফ।
যার হাত ধরে
গোকুলচন্দ্র দাস বাংলার নাম করা ঢাকি। ২০১০ সাল পর্যন্ত তারা ভাবতেই পারতেন না মেয়েরাও ঢাক বাজাতে পারে। ঢাক ছিল পুরুষদের যন্ত্র। কিন্তু বিদেশে গিয়ে তিনি দেখেন, দোকানে বসে ড্রাম বাজাচ্ছেন মেয়েরা। ওই নারীকে দেখে গ্রামের মেয়েদের কথা মনে পড়ে তার। ফিরে এসে মেয়েদের নিয়ে ঢাকের দল তৈরি করেন।
সেই দল এখন বিখ্যাত
গ্রাম এবং পরিবারের মেয়েদের নিয়ে সেই যে দল তৈরি করেছিলেন গোকুল, এখন তা ভুবন বিখ্যাত।
নারীরাও খুশি
নারী ঢাকিরাও খুশি বাদ্যশিল্পে যুক্ত হতে পেরে। জীবনে যে কখনো তারা একাজ করতে পারবেন, ভাবেননি তারা।
দলের ভাগ
গোকুলের দলে এখন ছয়জন নারী ঢাকি আছে। তাদের অনেকেই এখনো পড়াশোনা করেন। কিন্তু সারা বছরই গোকুলের কাছে তারা ঢাক বাজানো শেখেন। শেখেন নানা বোল।
আরো দল
শুধু গোকুল নন, কলকাতায় এখন বহু নারী ঢাকি ঢাক বাজাতে আসেন। বিভিন্ন গ্রামে তৈরি হচ্ছে নারী ঢাকিদের দল।
হারানোর মুখে
একসময় ঢাকিদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল। রোজগারের প্রয়োজনে ঢাকিরা অন্য কাজ বেছে নিচ্ছিলেন। এখনো অনেকেই সারাবছর অন্য কাজ করেন। কিন্তু পুজোর সময় ঢাক কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আগে ঢাকিরা খুব বেশি টাকা পেতেন না। ইদানীং টাকার অঙ্ক আগের চেয়ে বেড়েছে বলেই তারা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন।
হ্যাঁ, বিপ্লব
মেয়েদের প্রথম ঢাক বাজাতে দেখে অনেকেই মুখ ঘুরিয়েছিলেন। বহু পুজো মণ্ডপে তাদের বায়না দেওয়া হতো না। এখন নারী ঢাকিরা কলকাতার পুজোর অন্যতম থিম।