নারী অধিকার নিশ্চিত করতে মালিতে নতুন আইন
৪ মার্চ ২০১০সম্পত্তির অধিকার এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে মালির নারীদের৷ নারী অধিকার সংক্রান্ত নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ হাজার বিক্ষোভকারী আন্দোলন করেছে৷ এবং সেখানে শুধু পুরুষরাই নেই রয়েছে মহিলারাও৷ বেশ কিছু নারী সংগঠনের প্রধানরাও মনে করছেন এই আইন বাস্তবায়ন কঠিন হবে৷ গত বছরের অগাস্ট মাসে মালির প্রেসিডেন্ট আমাদু তুমানি তুরে টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি সারা দেশে নারী পুরুষের সমানাধিকার দেখতে চান, সংস্কার করতে চান আইনের৷ এই সংস্কারের প্রতিবাদেই শুরু হয় বিক্ষোভ৷
আইনের বিরোধী এক মহিলা বললেন, ‘‘নারী-পুরুষ কখনোই এক হতে পারে না৷ আমাদের দেশে একটি পরিবারের মূল রক্ষাকর্তা হচ্ছে একজন পুরুষ৷ এখানে কোন ধরণের সমনাধিকারের কথা বলা হচ্ছে ?''
আরেকজন মহিলা আইনের পক্ষ নিয়ে বললেন, ‘‘আমি আইনের কথা শুনেছি৷ আমার মনে হয়, নারীদের অধিকার দেয়া উচিৎ৷ এই সংস্কার আমাদের জন্যই !''
ক্ষিপ্ত এক ভদ্রলোক বললেন, ‘‘পারিবারিক আইনে সংস্কারের অর্থ হচ্ছে একজন মহিলা তাঁর স্বামীকে না জিজ্ঞেস করেই যা খুশি তাই করতে পারবে৷ মুসলিম আইন অর্থাৎ শারিয়ার সঙ্গে তা কিছুতেই খাপ খায়না৷ একটি পরিবারে একজন পুরুষই হচ্ছে প্রধান৷''
মালির রাজধানি বামাকো৷ প্রতি রবিবার প্রচলিত নিয়ন অনুসারে বাড়ি বাড়ি রান্না করা হয় পোলাও বা প্রচুর তেল দিয়ে ভাত, সঙ্গে মাছ৷ এবং প্রতিটি বাড়িতেই নতুন আইন নিয়ে চলছে আলোচনা৷ ত্রাওরে পরিবারে বেড়াতে এসেছেন নারী সংগঠন ফেনাকফের প্রধান উলেমাতু দেমবেলে৷ নতুন আইনের পক্ষে তিনি৷ পরিবারিক আইনের সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন৷ উলেমাতু জানান, ‘‘নতুন আইন অনুযায়ী কোন মেয়ের বিয়ে ১৫ নয় বরং ১৮ বছর বয়সেই হবে - প্রতিটি পুরুষের ক্ষেত্রে যা দেখা যায়৷ যে কোন মেয়ে ততদিন পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবে, পড়াশোনা করতে পারবে৷ কারণ ১৫ বছরে যখন কোন মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয় তখন দেখা যায় তাঁর দ্রুত বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে তখন পড়াশোনা শেষ করা হয় না৷ এবং অল্প বয়সে বাচ্চা হওয়ার পর দেখা যায় অসংখ্য শারিরীক সমস্যা৷ এই আইনের মধ্যে দিয়ে সব কিছুর পরিবর্তনই আমরা দেখবো৷''
প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক