1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন বছরে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কিমের

৫ জানুয়ারি ২০২২

উত্তর কোরিয়া ফের ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে বলে দাবি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার।

https://p.dw.com/p/459St
উত্তর কোরিয়া
ছবি: Yonhap/picture alliance

জাপানের কোস্ট গার্ড প্রথম বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। তাদের দাবি, কোরিয়ান পেনিনসুলার সমুদ্রে উত্তর কোরিয়া নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তবে সেটি ব্যালেস্টিক মিসাইল কি না, তা তারা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াও সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানায়, সম্ভবত সমুদ্রে নতুন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার বক্তব্য, কিম জং উন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রই পরীক্ষা করেছেন কি না, তা স্পষ্ট না হলেও তারা যে সমুদ্রে অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে, তা পরিষ্কার। গোয়েন্দাদের ধারণা সেটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র।

ঘটনার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী কড়া ভাষায় উত্তর কোরিয়াকে আক্রমণ করেছেন। তার বক্তব্য, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে কিম জং উন কোরিয়া পেনিনসুলার শান্তি নষ্ট করছেন। কোরিয়ার সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া সাধারণ মানুষের খাবারের দিকে মন দিক।

কিম অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন। বছর শেষের বক্তৃতায় কিম বলেছেন, আত্মরক্ষার অধিকার তাদের আছে। যেভাবে কোরিয়া পেনিনসুলায় তাদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তার মোকাবিলায় অস্ত্র পরীক্ষা করতেই হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, এর জন্যই দেশের মানুষ খাবার পাচ্ছেন না। সকলে যাতে খাবার পান, সে দিকে সরকার নজর রাখবে।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, উত্তর কোরিয়ায় তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। নারী এবং শিশুদের অবস্থা ভয়াবহ। অপুষ্টিতে ভুগছেন বহু মানুষ। বস্তুত, অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে অ্যামেরিকা সহ একাধিক দেশ। জাতিসংঘও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ফলে চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছে না উত্তর কোরিয়া।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)