1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্ষণ করে গাছে ঝোলানো হলো দুই নাবালিকার দেহ

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। তদন্তে নেমে পুলিশ এখনো পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

https://p.dw.com/p/4GsNj
উত্তরপ্রদেশ
ছবি: Rajanish Kakade/AP Photo/picture alliance

বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুই দলিত নাবালিকার দেহ গাছে ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ওড়না দিয়েই গাছে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই দুই নাবালিকাকে। তার আগে তাদের ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ যাদের আটক করেছে, তাদের নাম, সুহেইল, জুনেইদ, হাফিজুল, করিমুদ্দিন এবং আরিফ। এছাড়াও ছোটু বলে ওই নাবালিকাদের প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ছোটুর মাধ্যমেই সুহেইল এবং জুনেইদের সঙ্গে ওই দুই নাবালিকার আলাপ হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সে কারণেই ছোটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হাথরাসে নির্যাতিতার বাড়িতে

পুলিশের দাবি, সুহেইল এবং জুনেইদ ওই দুই নাবালিকাকে আখের খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ওই নাবালিকারা বিয়ে করতে চাইলে তাদের প্রাণে মেরে দেওয়া হয়। তারা আত্মহত্যা করেছে, এমনটা প্রতিষ্ঠা করতে তাদের দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বাকিরা সে সময় সুহেইল এবংজুনেইদকে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।

পুলিশের দাবি, ওই দুই নাবালিকা সুহেইল এবং জুনেইদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় গেছিল। কিন্তু দুই নাবালিকার বাড়ির লোকের অভিযোগ, তাদের বাইকে করে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ ছিল, আন্দোলনরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয়কুমার মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র। যা নিয়ে এখনো মামলা চলছে। ওই ঘটনা যেখানে ঘটেছিল, তার অনতিদূরেই বুধবারের ঘটনাটি ঘটেছে।

খবর প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়েছে। বিরোধিী নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন, যোগী আদিত্যনাথের গুন্ডারা এ কাজ করেছে। কংগ্রেসও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। ঘটনাস্থলে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দল পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)