1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিসুইডেন

ধর্ম ও বাকস্বাধীনতার টানাপোড়েনে সুইডেন সীমান্তে কড়াকড়ি

২ আগস্ট ২০২৩

জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে সুইডেন৷ নতুন আইন প্রণয়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সে দেশের সরকার৷

https://p.dw.com/p/4Uh7z
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন মঙ্গলবার ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবার থেকে চালু হবে একটি নতুন আইন৷ এই আইন কার্যকর হলে পুলিশের ক্ষমতা বাড়বে, এর ফলে সীমান্তে কড়াকড়িও বাড়বে৷
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন ছবি: Caisa Rasmussen/TT News Agency/AP Photo/picture alliance

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন মঙ্গলবার ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবার থেকে চালু হবে একটি নতুন আইন৷ এই আইন কার্যকর হলে পুলিশের ক্ষমতা বাড়বে, এর ফলে সীমান্তে কড়াকড়িও বাড়বে৷

বাড়ানো হবে ইলেক্ট্রনিক নজরদারিও৷

এই পদক্ষেপ ‘সুইডেনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের' চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে, যাতে তারা দেশে ঢুকে 'কোনো অপরাধ সংগঠিত করতে না পারে৷

সম্প্রতি ডেনমার্ক ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানো হয়, যা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হয়৷

সুইডিশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার এমন প্ররোচনা দেশের জন্য বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে৷ দেশে যাতে ইসলামিস্ট মনোভাবাপন্ন সহিংস ব্যক্তিরা না য়ুকতে পারেন, তাই এমন পদক্ষেপ, জানান ক্রিস্টেরসন৷

বাকস্বাধীনতা ও ধর্মের স্বাধীনতার মধ্যে লড়াই

সুইডিশ ও ডেনিশ দুই কর্তৃপক্ষই একদিকে বাকস্বাধীনতা ও অন্যদিকে, ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষায় বেগ পাচ্ছে৷ ক্রিস্টেনসন একাধিকবার বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীল আচরণের কথা স্মরণ করিয়েছেন৷

মুসলিমপ্রধান দেশগুলি দাবি জানিয়েছে, এমনভাবে ধর্ম অবমাননা ও কোরআন পোড়ানোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার৷ শুরুতে এই দাবিকে সরাসরি খারিজ না করলেও, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার উদাহরণ দিয়ে এখন দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলছে সুইডেন৷

ক্রিস্টেনসন বলেন, ‘‘দেশে যা কিছু বৈধ, তা সব সময় সঠিক নয়৷ বৈধ হলেও তা খুবই খারাপ৷''

সোমবার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি একটি অনলাইন বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করে৷ যেসব দেশে এমন আচরণ বৈধ, সেই দেশগুলির সাথে সম্পর্কের বাঁধন আলগা করার অনুরোধ করে ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রকে৷ জাতিসংঘের হস্তক্ষেপেরও দাবি তোলে তারা৷

‘জটিল' ও ‘বিপজ্জনক' পরিস্থিতিতে সুইডেন

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস্টেনসন বলেন যে সুইডেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এত বড় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে কখনো থাকেনি

বর্তমান পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টিও৷ রাশিয়া বা তুরস্ক দুই পক্ষই সুইডেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার বিরোধী৷

তুরস্ক ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে যে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সঠিক আইনি পদক্ষেপ না নিলে সুইডেনের ন্যাটো-স্বপ্নে বাধা দিতে পারে তারা৷

এসএস/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)