1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দায়িত্ব ছাড়ার পর কী করবেন ট্রাম্প?

১৩ নভেম্বর ২০২০

ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডনাল্ড ট্রাম্পের জীবনীকার মাইকেল ডি'অ্যান্টোনিও জানান তাঁর মতে, সদ্য নির্বাচনে হেরে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট টেলিভিশন কেরিয়ারে নতুন জোয়ার আনতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/3lF6V
ডি'অ্যান্টোনিও মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের আলাদা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চালু করবেন ট্রাম্প৷
ডি'অ্যান্টোনিও মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের আলাদা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চালু করবেন ট্রাম্প৷ছবি: Yuki Iwamura/Sputnik/dpa/picture alliance

ট্রাম্পের জীবনের ওপর ভিত্তি করে দুটি বই লিখেছেন মার্কিন সাংবাদিক ও পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মাইকেল ডি'অ্যান্টোনিও৷ বহু বছর ধরে তিনি রীতিমত কাছ থেকে দেখে আসছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে৷ সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ডয়চে ভেলের সাথে কথা বলেন তিনি৷ সেখানে মাইকেল জানান, ভবিষ্যতে রাজনীতি নয়, টেলিভিশনের পর্দাতেই জমি শক্ত করতে দেখা যেতে পারে ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারকে৷

‘‘২০০০ সাল থেকেই কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্পের আয়ের মূল উৎস হয়ে উঠেছে টেলিভিশন৷ তাছাড়া নির্বাচনি প্রচারকালীন ট্রাম্পের অঙ্গভঙ্গি ও প্রচারের ধরন থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে আসলেই ট্রাম্প কত বড় একজন পারফর্মার,'' বলেন ডি'অ্যান্টোনিও৷

তাছাড়া ট্রাম্পের টেলিভিশন কেরিয়ারে নতুন জোয়ার আনার পেছনে বড় লাভের হিসাবও থাকতে পারে৷ ডি'অ্যান্টোনিও মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নিজের আলাদা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চালু করবেন ট্রাম্প৷ আর তা অবশ্যই লাভজনক একটি বিনিয়োগ হবে বলে মনে করছেন ডি'অ্যান্টোনিও৷

ভোটের হিসাব অনুযায়ী, ডনাল্ড ট্রাম্প মোট সাত কোটি মানুষের ভোট পেয়েছেন, যা প্রায় তিন কোটি পরিবারের মোট ভোটের সংখ্যা হতে পারে৷ আর এই তিন কোটি পরিবার যদি ট্রাম্পের নতুন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের জন্য গড়ে এক ডলারও প্রতিমাসে খরচ করে, তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই উদ্যোগ থেকে ঠিক কতটা লাভ করতে পারবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট৷ এই অনুমানে পৌঁছতে ডি'অ্যান্টোনিও মাথায় রাখছেন ট্রাম্পের ব্যবসায়িক ইতিহাস, যা তিনি গভীরভাবে লক্ষ্য করেছেন৷

পর্দায় ট্রাম্প, গবেষণায় নয়

ইতিহাস বলে, মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতা ছাড়ার পরেও জনসাধারণের জন্য তাঁদের কর্মকাণ্ডকে উন্মুক্ত রাখতে পছন্দ করেন৷ এজন্য প্রত্যেক প্রেসিডেন্টই তাঁদের শাসনমেয়াদ শেষে একটি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি' বানান ও সেখানে তাঁদের শাসনকালের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি রেখে দেন, যেন সেগুলো ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে লাগতে পারে৷

কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্পও যে এই পথে হাঁটবেন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ডি'অ্যান্টোনিও৷ তাঁর মতে, ট্রাম্পের জন্য নির্দিষ্ট একটি জাদুঘর বা পাঠাগার তৈরি হলে তাতে কী কী রাখা হবে, সেটা তাঁর কাছে এখনও পরিষ্কার নয়৷

তবে মাইকেল ডি'অ্যান্টোনিও এব্যাপারে নিশ্চিত যে শুধু ডনাল্ড ট্রাম্পই নয়, বরং তাঁর গোটা পরিবারই ট্রাম্প-শাসনের মেয়াদ ফুরোলে ‘পলিটিক্যাল এন্টারটেইনমেন্ট' জগতে পা রাখবেন৷ আর যেহেতু ট্রাম্প অ্যামেরিকার একটি অংশের মানুষের মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন, ফলে সেই অংশের কাছে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা কোনোভাবেই কমবে না, মনে করেন মাইকেল৷ বরং, নির্বাচনে হারকেও নিজের বিরোধীগোষ্ঠীদের চক্রান্ত হিসাবে দেখিয়ে তা আখেরে নিজের টেলিভিশন কেরিয়ারে কাজে লাগাতে পারেন ট্রাম্প৷

ক্রিস্টি প্লাডসন/এসএস