দানিশ সিদ্দিকির চোখে বিশ্ব
পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় ফোটোগ্রাফার দানিশ সিদ্দিকি সম্প্রতি নিহত হয়েছেন তালিবানের হাতে। ফিরে দেখা তার কিছু কাজ।
সালাম দানিশ
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রধান ফোটোগ্রাফার ছিলেন দানিশ। রোহিঙ্গাদের নিয়ে তার কাজের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন।
তালেবানের ডেরায়
আফগানিস্তানে একাধিকবার ছবি তুলতে গেছেন দানিশ। যুদ্ধক্ষেত্রে বহু কাজ করেছেন। এবারেও আফগান বাহিনীর সঙ্গে ঘুরছিলেন তিনি।
কান্দাহারের লড়াই
কান্দাহারের কাছে পাকিস্তান সীমান্তে তালেবানের সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াই হয় আফগান সেনার। দানিশ ছবি তুলছিলেন। তখনই তালেবান আক্রমণে মৃত্যু হয় তার।
যুদ্ধক্ষেত্র যেমন
২০১২ সালে এই ছবিটি তুলেছিলেন দানিশ। তখনও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী ছিল। মার্কিন সেনা বুলডগ এভাবেই সুরক্ষিত করে রেখেছে অঞ্চলটি। পিছনে কাজ চলছে।
তালেবানের ঘরে
ছবির প্রয়োজনে সমস্তরকম ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিলেন দানিশ। এভাবেই ঢুকে পড়তেন তালেবানের ঘরে।
করোনার ভারত
করোনাকালে দানিশের এই ছবি ঝাঁকিয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। দিল্লিতে এভাবেই পোড়ানো হচ্ছিল করোনা রোগীদের দেহ। দানিশের এই মর্মান্তিক ছবি করোনাকালে ভারতের অবস্থা সামনে নিয়ে এসেছিল।
রোহিঙ্গা নারী
সুদূর মিয়ানমার থেকে নৌকো করে পাড়ি দিয়েছিলেন এই রোহিঙ্গা নারী। দিনের পর দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মাটি খুঁজে পেয়েছেন। কক্সবাজারের সৈকতে মাটি ধরে কাঁদছেন তিনি।
রোহিঙ্গা শিশু
রোহিঙ্গাদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন দানিশ। থেকেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। বাংলাদেশের সমুদ্রসৈকতে পৌঁছে শিশুকে ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা।
মুম্বইয়ের রাস্তায়
মুম্বইয়ের রাস্তায় এভাবেই ঘুমোতে হয় গৃহহীনদের। হ্যামকে ঘুমোচ্ছে তিন বছরের শিশু। ২০১২ সালে তোলা দানিশের এই ছবিও সাড়া ফেলে দিয়েছিল ভারতে।
শেষ সময়ের কথা
দানিশের বাবা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু শেষমুহূর্তে নিজের যাওয়া বাতিল করেন তিনি। জানিয়ে দেন আফগানিস্তান যাবেন যুদ্ধের ছবি তুলতে।
যুদ্ধক্ষেত্রের প্রার্থনা
যুদ্ধের মধ্যেই অস্ত্র পাশে নিয়ে নামাজ পড়ছেন আফগান সেনা বাহিনীর এক জওয়ান।
স্পেশাল ফোর্স
তালেবান ডেরায় হামলা চালিয়েছে স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা। ক্যামেরা হাতে সেখানেও পৌঁছে গেছিলেন দানিশ।
এবং আশ্বাস
আফগান স্পেশাল ফোর্স গ্রামে ঢুকে এভাবেই আশ্বস্ত করছেন সাধারণ মানুষকে।
ভয়ংকর লড়াই
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কান্দাহারের দখল নিতে পারেনি আফগান বাহিনী। তালেবানের শক্তির সামনে আফগান বাহিনীকে পিছু হঠতে হয়। একের পর এক সেনা জওয়ানকে মারতে থাকে তালেবান।
শেষ ছবি
মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে এই ছবিটি তুলেছিলেন দানেশ। একটি সেনা কনভয়ে ছিলেন তিনি। গাড়ি থেকে কনভয়ের ছবি তুলেছিলেন।