1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফিলিপাইন্স

দক্ষিণ চীন সাগরে অ্যামেরিকার সামরিক মহড়া

১২ এপ্রিল ২০২৩

তাইওয়ান সংকটের মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে বিরাট সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে ফিলিপাইন্স এবং অ্যামেরিকা।

https://p.dw.com/p/4PvdN
দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ানের সমুদ্র সৈকতে চীনের সামরিক মহড়ার জবাবেই অ্যামেরিকার এই আয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ানের সমুদ্র সৈকতে চীনের সামরিক মহড়ার জবাবেই অ্যামেরিকার এই আয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।ছবি: ELOISA LOPEZ/REUTERS

১৯৯১ সাল থেকে ফিলিপাইন্সের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে অ্যামেরিকা। এই মহড়ার নাম স্থানীয় ভাষায় বালিকাতান। যার অর্থ, 'কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে'। বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যামেরিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সামরিকমহড়ারব্যবস্থা করছে ম্যানিলা। কিন্তু এবছর যে মহড়ার আয়োজন হয়েছে, তার আয়তন চোখে পড়ার মতো বড়। দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ানের সমুদ্র সৈকতে চীনের সামরিক মহড়ার জবাবেই অ্যামেরিকার এই আয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রায় ১৭ হাজার সেনা এই মহড়ায় যোগ দিচ্ছেন। তার মধ্যে মার্কিন সেনার সংখ্যাই ১২ হাজার। রবার বুলেট নয়, আসল কার্তুজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়। দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ভুয়া জাহাজ তৈরি করা হয়েছে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা ওই জাহাজটিকে ধ্বংস করবে। পাশাপাশি মিসাইল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও থাকছে এই মহড়ায়।

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান আনা হচ্ছে এই মহড়ায়। পাশাপাশি হাইমার লঞ্চার, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক জ্যাভেলিনও আনা হচ্ছে ছোট্ট ফিলিপাইন্স দ্বীপে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ফিলিপাইন্সের আগের সরকার অ্যামেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও এতটা কাছে ছিল না। বর্তমান সরকার, অ্যামেরিকাকে বিপুল গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে চীন তাইওয়ান সীমান্তে আগ্রাসন দেখাতে শুরু করার পর ফিলিপাইন্স আগের চেয়ে অনেক বেশি অ্যামেরিকার মুখাপেক্ষী হয়েছে।

অ্যামেরিকাও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে বদ্ধপরিকর। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনের ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। অ্যামেরিকা সেই ক্ষমতা কমাতে বদ্ধপরিকর। এবং সে কারণেই এই বিপুল মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)