দক্ষিণ কোরিয়ায় ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের লাইসেন্স স্থগিত
৪ মার্চ ২০২৪সপ্তাহ দুয়েক আগে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল৷ সরকার তাদের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ায় সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল৷
ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসাসেবা, সার্জারি ব্যাহত হয়েছে৷ সরকারকে জনস্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ এলার্ট জারি করতে হয়েছে৷
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, সরকার মেডিকেল খাতের পেশাজীবীদের ধর্মঘট বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে বা তাদের লাইসেন্স স্থগিত করতে পারে, এমনকি সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও জরিমানা করতে পারে৷
রাজধানী সৌলে রোববার অনেক চিকিৎসক বিক্ষোভ করেছেন৷ এদের মধ্যে ধর্মঘটে না থাকা অনেক চিকিৎসকও ছিলেন৷ তারা ‘আমরা অপরাধী নই' লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেছেন৷
ভাইস স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক মিন-সু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাজে ফেরার সরকারি নির্দেশের পর মাত্র ৫৬৫ চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন৷ এখনও প্রায় ৯ হাজার চিকিৎসক ধর্মঘট করছেন৷ ‘‘আজ থেকে সরকার আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগ শুরু করছে,'' বলে জানান তিনি৷ ‘‘যদি তারা সরকারের কাজে ফেরার নির্দেশ লঙ্ঘন করেন তাহলে তিন মাসের জন্য লাইসেন্স স্থগিত করা হবে,'' বলেন তিনি৷
পার্ক মিন-সু সতর্ক করে বলেন, যারা বিশেষায়িত মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের সেটা পাওয়া এক বছর পর্যন্ত দেরি হয়ে যেতে পারে৷ এতে তাদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
বৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় রোগীপ্রতি চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় সরকার মেডিকেলে ভর্তির আসনসংখ্যা বছরে তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করতে চাইছে৷
কিন্তু ধর্মঘটরত চিকিৎসকেরা বলছেন, এতে মেডিকেল শিক্ষার মানের অবনতি হবে৷ এছাড়া ভবিষ্যতে অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে৷ নতুন চিকিৎসকেরা প্লাস্টিক সার্জারি ও ডার্মাটোলজির মতো অপ্রয়োজনীয় সেবায় ঝুঁকতে পারেন বলেও মনে করছেন ধর্মঘটরত চিকিৎসকেরা৷
তবে সমালোচকেরা বলছেন, ধর্মঘটরত চিকিৎসকেরা মূলত তাদের বেতন ও স্ট্যাটাস রক্ষায় বেশি আগ্রহী৷
জরিপ বলছে, তিন-চতুর্থাংশ মানুষ চিকিৎসকদের ধর্মঘটের বিরোধিতা করছেন৷
দক্ষিণ কোরিয়ায় এক লাখ ৪০ হাজার চিকিৎসক আছেন৷ সিনিয়র চিকিৎসকেরা ধর্মঘট না করলেও তাদের অনেকে ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স)