দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী নেতা টেরেব্লসেঁ খুন
৪ এপ্রিল ২০১০উগ্র বর্ণবাদ আন্দোলনের কারণে অনেক আগে থেকেই সমালোচিত ও নিন্দিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইউজিন টেরেব্লসেঁ৷ শনিবার তাঁকে নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র আডেলে মাইবার্গ বার্তা সংস্থাগুলোকে বলেন, টেরেব্লসেঁর লাশ তাঁর নিজের বিছানায় পাওয়া গেছে৷ তাঁর মাথায় এবং মুখে আঘাত রয়েছে৷ এই ঘটনার পর ২১ বছর ও ১৫ বছর বয়সী দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তারা পুলিশকে জানিয়েছে যে তাদের কাজের মজুরি না পাওয়া নিয়ে টেরেব্লসেঁর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী এই দুই ব্যক্তিই ৬৯ বছর বয়সী টেরেব্লসেঁকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে৷ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ টেরেব্লসেঁর কৃষিফার্মটি ভেনটের্সডর্প শহরে অবস্থিত৷
এদিকে এই হত্যাকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণবাদ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ৷ দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় জননিরাপত্তা মন্ত্রী হোয়ার্ড ইয়াওয়া এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়েছেন৷ একই সঙ্গে তিনি উত্তেজনা পরিহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন৷ এদিকে একই আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা৷
সাবেক পুলিশ অফিসার ইউজিন টেরেব্লসেঁ আগাগোড়াই ছিলেন একজন বর্ণবাদী নেতা৷ ১৯৪১ সালের ৩১ জানুয়ারি ভেনটের্সডর্পে তিনি জন্মগ্রহণ করেন৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ ফার্ম মালিকদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় তিনি ১৯৭২ সালে গড়ে তোলেন আফ্রিকানের রেজিসটেন্স মুভমেন্ট বা এডব্লিউবি৷ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর স্বোয়াস্তিকার মতই ছিল তাঁর দলের মনোগ্রাম৷ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী অধ্যায় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অব্যাহত ছিল এই দলটির অপতৎরতা৷ ১৯৯৪ সালে বোমা হামলার পেছনে ভূমিকা রাখার দায়ও তিনি পরবর্তীতে স্বীকার করেন৷ এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর হামলার জন্য বছর তিনেক জেলও খাটতে হয়েছিল তাঁকে৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়