1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে ভবন তৈরি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে ভবন তৈরি দিন দিন বাড়ছে৷ সম্প্রতি থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও উঁচু ভবন তৈরির সাইট পরিদর্শন করে এর নির্মাণশৈলি বোঝার চেষ্টা করেছে ডয়চে ভেলে৷

https://p.dw.com/p/4WmaX
Vereinigten Arabischen Emirate |Das weltweit erste aus dem 3D Drucker stammende Gebäude
দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টারে নির্মিত ভবনের ছবি৷ ছবি: picture-alliance/Photoshot/T. Wei

সেখানে সাইট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন শিকায়জে উগু৷ নাইজেরিয়ার উগু জার্মানিতে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যখন আমরা অত্যাধুনিক ভবনের কথা বলি, যেখানে তরঙ্গায়িত স্থাপত্য বা এই সমস্ত কিছু আছে, এবং যার জন্য আপনাকে বিশেষ ধরনের ফর্মওয়ার্ক তৈরি করতে হয়, সেখানে প্রচলিত বিল্ডিং তৈরিতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি দ্রুত কাজ করা যায়৷''

থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে ভবন তৈরির প্রক্রিয়া শুধু দ্রুতগতিরই নয়, এর ফলে উপাদান ও কর্মী কম লাগে৷ এছাড়া প্রচলিত নির্মাণ সাইটের চেয়ে এই প্রক্রিয়ায় নির্মাণ সাইট বেশি পরিষ্কার থাকে৷

শিকায়জে উগু বলেন, ‘‘এখানে আমরা সুন্দর যে ভবনটি তৈরি হতে দেখছি তার জন্য মাত্র তিনজন মানুষ দরকার৷ একজন প্রিন্টার পরিচালনা করে৷ একজন মিক্সিং মেশিন চালায়৷ আরেকজন সব ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য ঘুরে বেড়ায় ও অ্যাংকর বসানোর কাজটি করে- যেটা মূলত আমি করি৷''

সাইট ম্যানেজার হিসেবে উগুর কাজ কংক্রিট মিক্সার পরীক্ষা করে দেখা৷ এছাড়া স্মার্টফোনে অফিসের কাজও সারতে হয়৷ অন্য নির্মাণ সাইটের চেয়ে সেখানে কাজের পরিবেশ অনেক আরামদায়ক৷ দুটো প্রাচীরকে একসঙ্গে করে রাখতে অ্যাংকর বসানো হয়৷ তার সহকর্মী কম্পিউটার স্ক্রিনে থ্রিডি প্রিন্টারের দিকে নজর রাখছেন৷ কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টার কীভাবে জানে যে, কী প্রিন্ট করতে হবে?  

উগু জানান, ‘‘প্রক্রিয়াটা এমন- স্থপতি প্রথমে ভবনের নকশা তৈরি করেন৷ আমরা এতে সহায়তা করি৷ আমরা বলি, কোনটা সম্ভব, আর কোনটা নয়৷ নকশা তৈরি শেষে তিনি আমাদের একটি ‘স্টেপ' ফাইল দেন৷ স্টেপ হচ্ছে থ্রিডি মডেলিংয়ে ব্যবহৃত একটি ফরম্যাট৷ আমরা ঐ স্টেপ ফাইলকে ‘স্লাইডার' দিয়ে স্লাইড করি৷ এরপর একে কনভার্ট করে থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের প্রোগ্রামিং ভাষা ‘জি কোড'-এ পরিণত করে প্রিন্টারে পাঠিয়ে দিই৷ এরপর প্রিন্ট শুরু করি৷''

৫৪ মিটার দীর্ঘ, ১১ মিটার প্রশস্ত ও ৯ মিটার উঁচু ভবনটি তৈরিতে ছয় মাস লেগেছে৷ ভবনে কোনো জানালা নেই, কারণ সেখানে শুধু কম্পিউটার সার্ভার থাকবে৷

স্থপতি ইয়ান ফলকমান সবচেয়ে বড় ও উঁচু থ্রিডি প্রিন্টেড ভবনের নকশা করেছেন৷ ইস্পাতের গার্ডার ব্যবহারের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে- যা থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে নির্মাণকাজে একটি নতুন সংযোজন৷

ফলকমান বলেন, ‘‘বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে, আপনি এই নির্মাণ পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন৷ এবং স্থাপত্যের একেবারে সাধারণ নীতিমালার মধ্যে থেকে কী কী নির্মাণ করা যায়, তা দেখতে পারেন৷ অন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটা সম্ভব নয়৷''

সাইট ম্যানেজার উগুকে কিছু কাজ হাতেও করতে হয়- বিশেষ করে প্রিন্টার যেখানে থামে, আর যেখান থেকে কাজ শুরু করে৷ তাকে হয়ত সেখানে কিছু জিনিস ঠিক করতে হতে পারে৷ কিন্তু তিনি কখনও প্রচলিত নির্মাণশৈলিতে ফিরে যেতে চান না৷

উগু বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না আমি আর প্রচলিত নির্মাণশৈলিতে ফিরে যাব৷ তবে ভবিষ্যতের কথাতো আর কেউ বলতে পারে না৷ আমার বিশ্বাস, থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের প্রসার আরও বাড়তে থাকবে- এমনটা হলে আমি থ্রিডি প্রিন্টিংয়েই থাকবো৷’’

থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে ভবন তৈরির বিষয়টি ক্রমে পরীক্ষামূলক অবস্থা থেকে বেরিয়ে বাণিজ্যিক পর্যায়ে ঢুকছে৷ শিকায়জে উগুর কাছে আরও দুই বছর পর্যন্ত থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে ভবন তৈরির কাজ আছে৷

ক্রিস্টিয়ান প্রিসেলিয়ুস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য