1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিউনিশিয়ায় ইসলামপন্থিদের হালে পানি, পালে বাতাস

১ আগস্ট ২০১১

জুঁইফুলের বিপ্লবের পর তিউনিশিয়ায় ইসলামপন্থি প্রবণতা মাথা চাড়া দিয়েছে৷ খাতাপত্রে তাদের এখনও আল-কায়েদার সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই৷ তবে উদ্বেগ বাড়ছে বৈকি৷

https://p.dw.com/p/127G1
Nur für das Projekt 9/11: Spurensuche Tunesien

তিউনিশিয়ার রাস্তায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য: দুই শ্মশ্রুধারী লম্বা জোব্বা পরে তিউনিসের হাবিব বুর্গিবা এ্যাভেনিউ'তে দাঁড়িয়ে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছেন৷ একজন রাষ্ট্র আর ধর্মকে পৃথক রাখার বিরুদ্ধে বিষোদ্গীরণ করছেন, অন্যজন সমাজ রসাতলে গিয়েছে বলে গাল দিচ্ছেন৷ ধর্মনিরপেক্ষ তিউনিশিয়ায় কয়েক মাস আগেও এ'দৃশ্য কল্পনা করা যেতো না৷ কেননা গোয়েন্দা পুলিশ এসে অনেক আগেই দু'জনকে ধরে নিয়ে যেতো৷

হাবিব বুর্গিবা ছিলেন তিউনিশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট৷ ১৯৫৭ থেকে ১৯৮৭, ত্রিশ বছর ধরে দেশ শাসন করেছেন৷ তিনি চেয়েছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা এবং নারীপুরুষের সমানাধিকারের ভিত্তিতে একটি আধুনিক তিউনিশিয়া গড়ে তুলতে৷ সেই কারণেই তিনি কঠোর হাতে ইসলামপন্থি শক্তিদের দমন করতেন৷ কিন্তু তিউনিশিয়ায় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পর তারা আবার ফিরে এসেছে এবং হাবিব বুর্গিবা এ্যাভেনিউ'এর মতো হাওয়া খাওয়ার রাস্তাতেও স্বচ্ছন্দে দেখা দিচ্ছে৷

**** Darf nur im Zusammenhang mit der Berichterstattung zu "10 Jahre 11. Sptember 2011" verwendet werden.*** Beschreibung: Auf der Avenue Habib Bourguiba, für viele "der Vater der Nation", versammeln sich Bürger spontan und diskutieren über Politik. Auch Islamisten kommen hierhin, um für den Islam zu predigen. Dies wäre vor der Revolution vom Februar 2011 undenkbar. Aufgenommen in Tunis im April 2011 Rechte: Khalid El Kaoutit, DW
ছবি: DW

‘‘ওদের দেখলেই ভয় করে''

হাবিব বুর্গিবা এ্যাভেনিউ'তে কাফের ছড়াছড়ি৷ তারই কোনো একটাতে তরুণ-তরুণীদের সিগারেট সহযোগে চা-কফি খেতে দেখা যাবে৷ হয়তো বিয়ারও৷ সেই তরুণীদেরই একজন রাস্তার উল্টোদিকে শ্মশ্রুধারীদের লক্ষ্য করে বলছে: ‘‘ওদের দেখলেই ভয় করে!'' কে জানে ঐ শ্মশ্রুধারীরা এন্নাহাদা পার্টির লোক কিনা৷ এন্নাহাদা হল দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামপন্থি দল৷ দলের প্রধান রসিদ আল ঘানুচ্চি ২০ বছর স্বেচ্ছানির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন৷ মুসলিম ভ্রাতৃত্ব সংগঠনের আন্তর্জাতিক পরিষদের সদস্য তিনি৷

‘‘বিশ্বের সব মানুষই আরব''

‘শেখ রসিদ' বিশ্বের অনেক জায়গাই ঘুরেছেন, এমনকি জার্মানির ফ্রাইবুর্গেও ছিলেন৷ তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস হল, বিশ্বের সব মানুষই আরব৷ আদম স্বয়ং আরব ছিলেন৷ তাই বিশ্বের সব মানুষের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা উচিৎ৷ তবে তিনি আল-কায়েদার কার্যকলাপকে অবৈধ এবং নিছক সন্ত্রাস বলেই অভিহিত করেন৷ এ' যুক্তিও দেখান যে, তিউনিশিয়া আর মিশরের শান্তিপূর্ণ বিপ্লব সরকার পাল্টে দিতে পেরেছে, আল-কায়েদা যা কোনো দেশে পারেনি৷ এছাড়া নাইন-ইলেভেনের পর সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে এবং হচ্ছে তো মুসলিমদেরই৷

*****Darf nur im Zusammenhang mit der Berichterstattung zu "10 Jahre 11. Sptember 2011" verwendet werden.**** Auf der Avenue Habib Bourguiba, für viele "der Vater der Nation", gibt es zahlreiche Cafés und Bars, die von Frauen und Männer besucht werden und, in denen man öffentlich Alkohol konsumieren kann. Aufgenommen in Tunis im April 2011 Rechte: Khalid El Kaoutit, DW
ছবি: DW

‘‘নাইন-ইলেভেন আক্রমণের উদ্দেশ্য তো ভালোই ছিল''

কথাটা যিনি বলছেন, তিনি হলেন এন্নাহাদা'র চেয়ে কিছুটা বেশি উগ্রপন্থি তাহরির দলের মুখপাত্র রিদা বেলহাজ৷ সহিংসতা ভুল হতে পারে, কিন্তু ‘‘নাইন-ইলেভেন আক্রমণের উদ্দেশ্য তো ভালোই ছিল''৷ অপরদিকে তিউনিশিয়া আর মিশরের বিপ্লব হল সারা বিশ্বের মুসলিমদের মুক্তির পথে প্রথম সোপান৷ তিউনিশিয়ায় তিনি এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেন, যেখানে ইসলামই হবে সব আইনের উৎস৷

বেলহাজও এ' সব উক্তি করছিলেন হাবিব বুর্গিবা এ্যাভেনিউ'এর একটি কাফেতে বসে৷ শোনা গেল, কাফেতে সিগারেট আর বিয়ার হাতে আধুনিক সেই তিউনিশীয় তরুণীরা বলছেন: ‘‘ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় এলে আমাদের সকলকেই দেশ ছাড়তে হবে৷''

প্রতিবেদন: খালিদ আল কাউতিত/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ