1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢুকতে দেওয়া হল না রাহুল, প্রিয়ঙ্কাকে

গৌতম হোড়
২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

মিরাটে ঢুকতে দেওয়া হল না রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে৷ ফলে পুলিশের গুলিতে মৃত প্রতিবাদীদের পরিবারের কাছে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা৷ 

https://p.dw.com/p/3VIKX

দু দিন আগে তৃণমূল নেতাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দরে৷ শহরে ঢুকে মৃত প্রতিবাদী পরিবারের কাছে তাঁরা পৌঁছতে পারেননি৷ মঙ্গলবার রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকেও মিরাটে ঢুকতে দিল না যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ৷ তাঁরাও মৃত প্রতিবাদীদের পরিবারের কাছে পৌঁছতে পারলেন না৷ তাঁরা বারবার পুলিশকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন,দলবল নিয়ে নয়, মাত্র তিনজন পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে চলে যাবেন৷ কোনও জনসভা, কর্মীসভা করবেন না৷ তাও পুলিশ রাস্তা ছাড়ল না৷ এই ঘটনার পর কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী বলছেন, ‘‘আমাদের কোনও লিখিত নির্দেশ দেখানো হয়নি৷ শুধু মৌখিকভাবে বলা হল, আপনারা ঢুকতে পারবেন না৷ পুলিশ আটকে দেওয়ায় আমরা দিল্লি ফিরে যাচ্ছি৷’’

পরপর এই দুটি ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, যোগী সরকার কি রাজনৈতিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে? তারা এনআরসি ও সিএএ র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের৷ বিক্ষোভ হলে পুলিশের গুলি চলছে৷ ইতিমধ্যে ষোলজন মারা গিয়েছেন৷ তারপর তাদের পরিবারের কাছেও পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না রাজনৈতিক নেতাদের৷  তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার৷ বিজেপি সরকার নাগরিকদের অধিকার পর্যন্ত দিতে রাজি নয় ৷ তারা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির ওপর আঘাত হানছে৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ গুলি চালিয়ে লোককে খুন করেছে৷ জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেতে হচ্ছে৷’’ 

সুখেন্দু শেখর রায়

প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজক৷ এই অবস্থায় রাজনৈতিক নেতারা সেখানে গেলে তা আরও খারাপ হতে পারে৷ তখন পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যেতে পারে৷ অমর উজালা সংবাদপত্রের প্রবীণ সাংবাদিক ও উত্তর প্রদেশ বিশেষজ্ঞ শরদ গুপ্তা ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, ''আইন শৃঙ্খলার অবণতির কথা যে বলা হচ্ছে, তা মানা যায় না৷ আসলে বিরোধী নেতারা প্রতিবাদকারীদের কাছে গেলে, মৃতদের পরিবারের কাছে পৌঁছলে, তাঁরা  প্রচারের আলোয় এসে যাবেন৷ সেটাই বিজেপি চায় না৷'' কিন্তু বিজেপি হামেশা বিরোধী নেতাদের এই ধরনের প্রয়াসকে রাজনৈতিক পর্যটন বলে অভিহিত করে৷ শরদের মতে, ‘‘যখন বিজেপি নেতারা যান, তখন সেটাও কি রাজনৈতিক পর্যটন হয়?’’

কংগ্রেস বলেছে, রাহুলরা পরে আবার মিরাটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন৷ আর পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাহুলদের বলা হয়, তাঁদের যাওয়ার ফলে যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, তা হলে সব দায় তাঁদের হবে৷ তারপর তাঁরা নিজেরাই ফিরে যান৷ এর আগেও অবশ্য রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে আটকানো হয়েছে। কাশ্মীরে সর্বদলীয় নেতাদের প্রতিনিধিদল নিয়ে গিয়েছিলেন রাহুল৷ বিমানবন্দর থেকে তাঁদের ফিরতে হয়েছে৷ শোনভদ্রতে মৃত দলিতদের কাছে প্রথমে যেতে দেওয়া হয়নি প্রিয়ঙ্কাকে৷ কিন্তু সিএএ নিয়ে প্রতিবাদের আবহে যেভাবে তাঁদের আটকে দেওয়া হল, তা নিয়ে বিতর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে৷