ঢাকায় জানাজা সম্পন্ন, মরদেহ হস্তান্তর
১৯ মার্চ ২০১৮সোমবার সকাল নয়টার দিকে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৩ মরদেহের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, প্রথম জানাজা শেষে বাংলাদেশিদের লাশ নিয়ে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে কাঠমান্ডু ছাড়ে৷
দুপুরেই মরদেহগুলো পৌঁছায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে৷
বিকেল ৫টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়৷ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কফিন বয়ে নিয়ে মঞ্চের ওপর সারি করে রাখেন৷
এরপর দ্বিতীয়বার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷ মাওলানা মাহমুদুর রহমানের পরিচালনায় মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, আত্মীয়-বন্ধু-স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পোশার মানুষ আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজায় অংশ নেন৷
রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কফিনে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান৷
পরে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷
এই ২৩ জনের মধ্যে ইউএস-বাংলার পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন৷
আর যাত্রীদের মধ্যে আছেন ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান৷
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশের মেডিক্যাল টিমের ফরেনসিক এক্সপার্ট ডা. সোহেল মাহমুদ টেলিফোনে রোববার রাতে ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছি৷ বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় হয়তো সোমবার নিশ্চিত হওয়া যাবে৷ আবার নাও সম্ভব হতে পারে৷ দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট লাগবে৷''
আর এই ডিএনএ টেস্টে কমপক্ষে ২১ দিন লাগতে পারে বলে শনিবার তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন৷
এইচআরএস, জেডএ/এসিবি