খেলাধুলার জগতে কলঙ্ক ডোপিং
১৩ জুলাই ২০১৩অ্যাথলিটদের ইউরিনে ইপো-র সন্ধান পাওয়াটা নাকি আগের থেকে অনেক সহজ হয়ে উঠেছে, বলছেন যাঁরা গবেষণাগারে ঐ সব নমুনা পরীক্ষা করে থাকেন৷ ইপো নাকি এখন অত্যন্ত কাঁচা কিংবা দুঃসাহসী অ্যাথলিটরাই ব্যবহার করার সাহস পাবে, ধরা পড়ার সম্ভাবনা এতই বেশি৷
বাজারে এখন নতুন ধরনের ডোপিং-এর পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে, যেমন আইকার কিংবা জিডাব্লিউ১৫১৬, যা রক্তে লাল কণিকাগুলির অনুপাত না বাড়িয়ে পেশিগুলোতে আরো বেশি শক্তি জোগায় – সেই সঙ্গে শরীরে মেদের পরিমাণ কমায়, ট্যুর দ্য ফ্রঁস অ্যাথলিটদের যেটা কাম্য, কেননা ওজন কমলে তারা পাহাড়ের চড়াই-ওৎরাইতে আরো ভালো সাইকেল চালাতে পারবে৷
পেশিতে শক্তি যোগানোর অর্থ মিটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা বাড়া – যে মিটোকন্ড্রিয়া পেশির কোষের জ্বালানি চুল্লি হিসেবে কাজ করে৷ অর্থাৎ পেশির পরিমাণ বাড়ে না, বাড়ে যে পেশি আছে, তার কার্যকরিতা৷ অন্যদিকে এই পেশির ডোপিং-এর একটা অন্ধকার দিক আছে: সেটি হলো লিভার, ব্লাডার কিংবা কিডনিতে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা৷ যে কারণে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন ২০০৬ সালে এ ধরনের পদার্থ নিয়ে গবেষণা বন্ধ করে দেয়৷
তবে ইন্টারনেটের যুগে ইন্টারনেটেই পদার্থটি অর্ডার করা চলে৷ ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম একজন অ্যাথলিট পেশির ডোপিং-এর দায়ে ধরা পড়েন৷ তিনি ছিলেন – সাইক্লিস্ট নন – বরং বরফের উপর স্পিড স্কেটার, জাতিতে রুশি, সের্গেই লিসিন৷ ২০১৩ সালের বসন্তে ধরা পড়েন আরো জনা ছয়েক পেশাদারি সাইক্লিস্ট৷
ভাগ্যক্রমে জিডাব্লিউ১৫১৬ অতি সহজেই ধরা যায়৷ আইকার পদার্থটি শরীরের মেদ কমাতে পারে বলে তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলেছে৷ এছাড়া শরীর নিজেই এই পদার্থটি কিছু পরিমাণে উৎপাদন করে থাকে৷ কাজেই আইকার ডোপিং প্রমাণ করার কাজটা এতটা সহজ নয়৷ তবে সমস্যাটা যে কত পুরনো, তা বোঝা যায় এ থেকে যে, ২০০৯ সালে ট্যুর দ্য ফ্রঁস চলার সময়েই আস্তানা দলের হোটেলরুম থেকে আইকারের ফাঁকা প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল৷ মনে রাখতে হবে, ল্যান্স আর্মস্ট্রং ও আলবের্তো কন্টাডরের মতো সাইক্লিস্টরা তখন সক্রিয়দের তালিকায় ছিলেন৷