ডি-ডে’র ৭৫ বছর উদযাপন
নাৎসি জার্মানি তখন ইউরোপজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করছিল৷ শেষে ১৯৪৪ সালের ৬ জুন একযোগে তাদের ওপর আক্রমণ চালাতে সক্ষম হয় মিত্র বাহিনী৷ যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথে উদযাপিত হলো সেই ঐতিহাসিক ঘটনার ৭৫তম বার্ষিকী৷
সেই দিনে ফেরা
যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ থেকে একযোগে এসে ১৯৪৪ সালের ৬ জুন ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে হামলা চালানো হয়৷ ‘ডি-ডে’ বলে পরিচিত এই দিনটি অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ৭৫তম বার্ষিকীর আগে পোর্টসমাউথে চলে মহড়া, যাতে ঐতিহাসিক সেই দিনের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়৷
শান্তির আবাহন
‘ডি-ডে’ তে আকাশ ও সমুদ্র দিয়ে একযোগে হামলা চালায ১ লাখ ৫৬ হাজার অ্যামেরিকান, ব্রিটিশ ও ক্যানাডিয়ান সৈন্য৷ দিবসকে সামনে রেখে সোমবার এভাবে পোর্টসমাউথের আকাশে ওড়ে ব্রিটিশ জেট বিমান৷ যেটাকে শান্তির আবাহন হিসাবে দেখানো হয়৷ ১৯৪৪ সালের ৫-৬ জুনের আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল প্রায় চার হাজার যুদ্ধবিমান৷
নর্মান্ডিতে বীরযোদ্ধাদের আগমন
নর্মান্ডির ক্যঁ শহরের আয়োজনে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান ৯৪ বছর বয়সি এই বীরযোদ্ধা৷ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা বীরযোদ্ধাদের একজন তিনি৷ ৯৭ বছর বয়সি আরেক অ্যামেরিকান প্যারাট্রুপার অনুষ্ঠানে আসেন প্যারাস্যুটে চড়ে৷ অবশ্য সেটাতে তাঁর এক সহযাত্রীও ছিল৷
বিশ্বনেতাদের শ্রদ্ধা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট এবং ক্যানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পোর্টসমাউথের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ এ সময় ১৯৪৪ সালের ৬ জুন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি. রুজেভেল্টের বক্তব্য পড়ে শোনান ট্রাম্প৷ যাতে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এটা আমাদের প্রজাতন্ত্র, আমাদের ধর্ম ও আমাদের সভ্যতা রক্ষা এবং মানবতার কষ্ট দূর করার সংগ্রাম৷’’
তরুণীকালে ফিরলেন রানী এলিজাবেথ
১৯৪৪ সালের ৬ জুন যখন ডি-ডে সংঘটিত হয়, তখন রানী এলিজাবেথের বয়স ছিল ১৯ বছর৷ সোমবারের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তরুণীকালকে স্মরণ করে তিনি৷
সহযোদ্ধাদের স্মরণ
সেই যুদ্ধের জীবিত কয়েকজন যোদ্ধা পোর্টসমাউথের আয়োজনে অংশ নেন৷ সামরিক ইউনিফর্মে এই যোদ্ধাদের সবার বয়স ৯০ বছরের বেশি৷ তাঁরা ওই যুদ্ধে শহিদ সহযোদ্ধাদের স্মরণ করেন৷
এক হয়ে শান্তির ঘোষণা
ডি-ডে’র আয়োজনে অংশ নিয়েছেন ১৬ দেশের নেতারা, যেসব দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল৷ একটি প্রতীকী শান্তি ঘোষণাও সই করেছেন তাঁরা৷