ডাকটিকেটে জার্মানির কিছু কথা
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্র বিশ্বকে ইতিহাস জানানোর একটি মাধ্যম হিসেবে ডাকটিকেটকে বেছে নিয়েছিল৷ ছবিঘরে সত্তর বছরের ইতিহাসের কিছু কথা তুলে ধরা হচ্ছে৷
প্রথম ডাকটিকেট
১৯৪৯ সালের ১৪ আগস্ট জার্মানির প্রথম সংসদ নির্বাচিত হয়৷ তার প্রায় সাড়ে তিন সপ্তাহ পর ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে৷ সে উপলক্ষ্যে জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের প্রথম দুটি ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়েছিল৷
গণিতবিদকে স্মরণ
ডাকটিকেটের ছবিতে জার্মানির গণিতবিদ আডাম রিজে’কে দেখতে পাচ্ছেন৷ ষোড়শ শতকে গণিতে তিনি অসাধারণ অবদান রেখেছেন৷ বিশেষ করে রোমান সংখ্যানির্দেশক ব্যবস্থা (I, II, III, IV, V, VI, VII, VIII, IX, X, XI, XII) থেকে আরব সংখ্যানির্দেশক ব্যবস্থার (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ এবং ৯) ব্যবহার শুরুর ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল৷ রিজের স্মরণে ১৯৫৯ সালে এই ডাকটিকেটটি প্রকাশ করা হয়৷
ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ
নারীদের ভোটাধিকার পাওয়ার ৫০ বছরে ১৯৬৯ সালে তিন নারীকে নিয়ে ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়৷ তাঁরা হলেন মারি ইয়ুশাকৎস, মারি-এলিজাবেথ ল্যুডার্স ও হেলেন ভেবার৷
শিল্পীদের গ্রাম
ব্রেমেন শহরের কাছে অবস্থিত ভোর্পসভেডে শিল্পীদের গ্রাম বলে পরিচিত৷ ১৮৮৯ সালে তিন তরুণ পেইন্টার (পাউলা মোডারসোন-বেকার, ফ্রিৎস ওভারবেক ও কার্ল ফিনেন) এই গ্রাম গড়ে তুলেছিলেন৷ একশ’র বেশি শিল্পী বাস করেন সেখানে৷ ভোর্পসভেডের একশ’ বছর পূর্তিতে ১৯৮৯ সালে এই ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়৷
ফ্রিডরিশ শিলার স্মরণে
‘স্বাধীনতার এক কন্যা হচ্ছে শিল্প’৷ ডাকটিকেটে এই কথাটিই লেখা হয়েছে৷ জার্মান কবি ফ্রিডরিশ শিলারের এক চিঠিতে এই কথাটি লেখা ছিল৷ ২০০৯ সালে শিলারের আড়াইশতম জন্মদিন উপলক্ষে এই ডাকটিকেট ছাপা হয়৷
বাউহাউসের ১০০ বছর
জার্মানির ভাইমার শহরে ১৯১৯ সালে একটি অন্যরকম ডিজাইন স্কুল গড়ে তুলেছিলেন স্থপতি ভাল্টার গ্রোপিয়ুস, যা বাউহাউস নামে পরিচিত৷ এই স্কুলের উদ্দেশ্য ছিল অভিজাত শিল্পকে জীবনের আরো কাছে নিয়ে আসা৷ চলতি বছর এই স্কুল শুরুর শতবর্ষ পূর্তিতে এই ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়৷