1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প আমলের বিতর্কিত নীতি এখনও চলছে

২৫ মে ২০২২

২০২০ সালের মার্চে করোনার বিস্তার ঠেকাতে একটি নীতি গ্রহণ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ এর আওতায় জনস্বাস্থ্যের হুমকি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়৷

https://p.dw.com/p/4BpLj
USA I Migranten in Del Rio
ছবি: Eric Gay/AP Photo/picture alliance

গত দুই বছরেরও বেশি সময়ে বেশ কয়েকবার এই নীতির মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ করোনার প্রকোপ কমায় এই সোমবার থেকে ‘টাইটেল ৪২' নামের এই নীতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন৷ তবে ২০টির বেশি রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল৷ এরপর গত শুক্রবার লুইজিয়ানার এক ফেডারেল বিচারক টাইটেল ৪২ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন৷

বিচার মন্ত্রণালয় এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছে৷ আর হোয়াইট হাউস বলছে তারা ঐ রায় মেনে চলবেন৷

মার্কিন কাস্টমস অ্যাণ্ড বর্ডার প্রটেকশন জানিয়েছে টাইটেল ৪২ ব্যবহার করে ১৭ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ শুধুমাত্র অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু যাদের কোনো সঙ্গী নেই তাদের এই নীতির আওতার বাইরে রাখা হয়৷ টাইটেল ৪২ এর কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কোনোরকম আশ্রয় আবেদনের সুযোগ দেয়া, এমনকি তাদের দাবি শোনার আগেই ফিরিয়ে দিতে পারেন মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা৷

রাজনীতি?

প্রোগ্রামস ইন দ্য ওয়াশিংটন অফিস অন ল্যাটিন অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিন মায়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় টাইটেল ৪২কে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি৷

Mexiko Ciudad Acuna | Migration an der Grenze zwischen Mexiko und USA
ছবি: Felix Marquez/AP/dpa/picture alliance

মেক্সিকোর সিন ফ্রন্টেরাস সংস্থার আবা সাইসও মনে করছেন রিপাবলিকানরা টাইটেল ৪২কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন৷ তিনি বলেন করোনার বিস্তারের জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দায় দেয়া যায় না, কারণ তাদের প্রায় ৭০ ভাগ করোনার টিকা নিয়েছেন৷

মার্কিন অভিবাসন নীতিতে বর্ণবাদেরও অভিযোগ তোলেন সেইজ৷ তিনি বলেন ইউক্রেনের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের টাইটেল ৪২ এর আওতায় নেয়া হচ্ছে না৷ অথচ মধ্য অ্যামেরিকা, মেক্সিকো ও হাইতি থেকে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে৷

মরিন মায়ারও সাইসের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন৷ তিনি বলেন হাইতির নাগরিকদের এমন দেশে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে যেখানে প্রেসিডেন্টরা হত্যার শিকার হন, যেখানে গ্যাং সন্ত্রাস আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত ঘটনা৷

হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট সংস্থা জানিয়েছে বাইডেন আমলে ফিরিয়ে দেয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জন অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷

ক্যামিলো টোলেডো/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য