টুইটারে গ্রিনপিসের অসাধারণ ভিডিও
১০ সেপ্টেম্বর ২০১০সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি গাছ কাটার শব্দ৷ প্রচণ্ড গ্রীষ্মে ছায়া দেয়া গাছগুলোকে কেটে নিচ্ছে সরকারি কর্মীরা৷ কায়রোর রাস্তার পাশের গাছগুলো কাটা কী খুব জরুরি? কথাগুলো হাজেম সৌদির, লিখেছেন মিশর থেকে৷
চট্টগ্রামের আদিবাসীদের কৃষিকাজে সহায়তা করে ইউএনডিপি৷ কিন্তু কিছু আদিবাসী ঝুম চাষ করার জন্য সংরক্ষিত পাহাড়ি বনাঞ্চলে ঢুকে পড়ে৷ এরপর পাহাড়ের ছোট ছোট গাছ কেটে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এতে করে পাহাড়ি বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়৷ আশা করছি ইউএনইপি এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধে এগিয়ে আসবে৷ লিখেছেন জাহিদুর রহমান মিয়া, বাংলাদেশের রাঙামাটি থেকে৷
চলুন আরেকটু আগাই৷ যদি আমরা প্রত্যেকে একটি করে গাছ লাগাই, তাহলে এই পৃথিবীতে ৬ দশমিক আট বিলিয়ন গাছ লাগানো সম্ভব৷ আসুন এই কাজটি করি এবং আমাদের চারপাশটাকে আরো সুন্দর করে তুলি৷ কথাগুলো চার্লস মোয়াঙ্গিন এর৷ লিখেছেন কেনিয়া থেকে৷
জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি'র ফেসবুক পাতা থেকে নেয়া হয়েছে এসব মন্তব্য৷ প্রতিদিন বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে এরকম অনেক বার্তা ভরিয়ে দিচ্ছে এই ফেসবুক পাতাকে৷ শুধু লিখিত বার্তা নয়, নানা ধরণের কর্মকাণ্ডের ছবি, নিউজ কিংবা ব্লগ লিংক সবই হাজির ইউএনইপি'র পাতায়৷ সেখানে এখন সদস্য সংখ্যা সাড়ে বারো হাজারের মতো৷ সবার লক্ষ্য একটাই, জলবায়ু পরিবর্তনের হিংস্র থাবা থেকে বাঁচাতে হবে বিশ্বকে৷ তাই নিজ নিজ অবস্থানের জানান দিতে সামাজিক নেটওয়ার্কে হাজির হওয়া৷
পরিবেশ সুরক্ষায় সামাজিক নেটওয়ার্ক
ইদানিং পরিবেশ সুরক্ষায় সামাজিক নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করার প্রবণতা বাড়ছে৷ এতে সাড়াও পাওয়া যায় বেশ৷ ইউএনইপি তার সব কর্মকাণ্ডের জানান দেয় ফেসবুক কিংবা টুইটারের মাধ্যমে৷ সংস্থাটির টুইটার পাতার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার৷ সেখানে রয়েছে কার্বন নির্গমন কমানো থেকে শুরু করে সবুজ পৃথিবী আন্দোলনের নানা খবর৷ শুধু তাই নয়, পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মানুষকে উৎসাহিত করতেও টুইটারকে ব্যবহার করছে ইউএনইপি৷
গ্রিনপিসের টুইটার
অবশ্য, শুধু ইউএনইপিই নয়, বিশ্বের নামকরা সব পরিবেশবাদী সংস্থারও সর্বাধুনিক অস্ত্র এই টুইটারই৷ জার্মানির পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা গ্রিনপিসের রয়েছে একাধিক টুইটার ঠিকানা৷ সেখানে অন্তত লাখখানেক মানুষ হাজির গ্রিনপিসকে তাৎক্ষণিক সমর্থন জানাতে৷
সুমেরু অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় বেশ তৎপর গ্রিনপিসের জাহাজ৷ সেখানকার এক সর্বশেষ ভিডিও ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে টুইটারে৷ মেক্সিকো উপসাগরের মতো আর্কটিকেও তেল বিপর্যয় চায় না গ্রিনপিস৷ তাই সংস্থাটির কয়েক সাহসী কর্মী আর্কটিকের এক তেলকূপে হঠাৎ হাজির হয়ে জানিয়েছে প্রতিবাদ৷ ঝুলিয়ে দিয়েছে ব্যানার, ‘স্টপ আর্কটিক অয়েল ডিজাস্টার্স'৷ সত্যিই, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সে কাজ৷
বাড়ছে পরিবেশ সচেতনতা
এভাবে সামাজিক নেটওয়ার্ক হয়ে উঠেছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক অনন্য হাতিয়ার৷ বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, স্বল্পসময়ে সাধারণ মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে এই মাধ্যম অন্তত কার্যকর৷ বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, টুইটারের মাধ্যমে অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে কিন্তু আমরা অনেক বেশি সচেতনতা তৈরি করতে পারবে বা পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবো৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশেও পরিবেশ সচেতনতায় সামাজিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়৷ ঢাকার ডুবনি খালকে বাঁচাতে ফেসবুকে চলছে আন্দোলন৷ রয়েছে বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা, ‘ঢাকাবাসী হও চাঙ্গা, বাঁচাও নদী বুড়িগঙ্গা'৷ তবে, এসব উদ্যোগের পরিধি এখনো সীমিত৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন