টাকার জন্য সিংহের পায়খানা!
সিংহ মলত্যাগ করছে, সেই মল কৌটো বা বয়ামে ভরে বিক্রি করা হচ্ছে৷ ভাবা যায়? দেখুন ছবিঘরে...
সার্কাস ক্রোন
মিউনিখের এই সার্কাস কোম্পানির বয়স এখন ১১৫ বছর৷বিশ্বের অন্যতম বড় এই সার্কাসটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কার্ল ক্রোন নামের এক ব্যক্তি৷ তখন নাম ছিল সার্কাস চার্লস৷ পরে প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে নাম রাখা হয় সার্কাস ক্রোন৷
নানা প্রাণীর সমাহার
২৬টির মতো সিংহ আছে এই সার্কাসে৷তিনটি বাঘও আছে, যার মধ্যে দুটি সাদা বাঘ৷এছাড়া হাতি, জলহস্তি, শূকরমুখো বানরসহ অন্তত ১০০ ধরনের প্রাণী আছে এই সার্কাসে৷
প্রধান আকর্ষণ ‘কিং টোঙ্গা’
করোনা সংকট শুরুর আগে অসংখ্য দর্শনার্থী‘কিং টোঙ্গা’ নামের এই সাদা সিংহকে দেখতে যেতেন৷ সঙ্গে তার দুই বান্ধবী ‘প্রিন্সেস’ এবং ‘ডায়মন্ড’ আর সেই সঙ্গে এক ছেলে এবং এক মেয়ে মিলিয়ে টোঙ্গার পুরো পরিবারই দেখে নিতেন তারা৷
পায়খানার কদর
করোনার কারণে সার্কাস ক্রোন এখন বন্ধ৷ কোনো আয় নেই৷ তাই কৌটো ভরে ভরে সিংহের পায়খানা বিক্রি শুরু করেছে সার্কাস ক্রোন কর্তৃপক্ষ৷
এক বয়াম পাঁচ ইউরো
সিংহের পায়খানার বেশ চড়া দাম৷ দাম দিয়ে এই বস্তু কেনায় আগ্রহী মানুষেরও অভাব নেই৷ পাঁচ ইউরো দিয়ে সিংহের এক বয়াম মল কিনে খুশিমনে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই৷
প্রাণীর উপকার, ক্রেতারও উপকার
মল বিক্রির টাকার একটা অংশ ব্যয় করা হয় বন্দি প্রাণীদের জীবনমান উন্নয়নের কাজে৷ যারা কেনেন, তাদেরও খুব কাজে লাগে কৌটোভর্তি মল৷ পাহাড়ি এলাকার অনেক মানুষ বাড়িতে গিয়েই কৌটো খুলে একটু মল নিজের বাগানে ছড়িয়ে দেন৷ পাহাড় থেকে কোনো বন্য প্রাণী এলে সেই মলের গন্ধ পেয়ে মনে করে, সিংহ আসছে৷ ছুটে পালাতে আর দেরি করে না তারা!