জীবিকার তাগিদে উত্তাল সাগর পাড়ি
উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে আফ্রিকার অনেক নাগরিক ইউরোপে যায়৷ কিন্তু সুখের দেখা কি মেলে?
নড়বড়ে জলযানে উত্তাল সাগর পাড়ি
এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি বছর গ্রীষ্মে কাজের খোঁজে হাজার হাজার আফ্রিকান নাগরিক উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছেন৷
অস্থায়ী বাসস্থান
কোনোমতে সাগর পাড়ি দিতে পারলে অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা হয় ছবির এমন পরিবেশে, একটি বস্তিতে৷ সেখানে থেকে তাঁরা সবজি বা ফল পাড়ার কাজ খোঁজেন৷ কিন্তু এসব পণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় ইদানীং বেশি কাজ পাওয়া যাচ্ছে না৷
‘ইউরোপীয় বস্তি’
প্রায় এক হাজার আফ্রিকান নাগরিক বাস করেন দক্ষিণ ইটালির আপুলিয়ার এই বস্তিতে৷ ‘দ্য ঘেটো’ নামে পরিচিত সেই আবাসস্থলে নেই বিদ্যুৎ, নেই টয়লেট, এমনকি নেই পানিও৷ তারপরও গ্রীষ্মকাল এলেই সেখানে আগন্তুকের সংখ্যাটা বাড়ে৷ কারণ আবহাওয়া উপকূলে থাকায় ইদানীং আরও বেশি সংখ্যক আফ্রিকান সাগর পাড়ি দিতে আগ্রহী হচ্ছেন৷
সাইকেলই ভরসা
‘দ্য ঘেটো’-তে বেঁচে থাকতে হলে একজনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন৷ আর সেটা যদি হয় সাইকেল ঠিক করার দক্ষতা তাহলে ভালো৷ কেননা সাইকেলে করেই অভিবাসীরা কাজের খোঁজে বের হন৷ অনেকে সাইকেল ধারও নেন৷
অর্থনৈতিক সংকট
‘দ্য ঘেটো’র সবচেয়ে কাছের বড় শহর ফোগিয়া, যেটা ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ অভিবাসীরা সাধারণত সেখানেই কাজের খোঁজ করেন৷ তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে৷
আশা যেন নিরাশা
ইবরা এমবেকে ফল (বামে) এবং নাগর সার (ডানে)৷ সেনেগালের এই দুই নাগরিক জানেন ইটালিতে টাকা আয় করা কতটা কঠিন৷ ইবরা ঘণ্টা প্রতি সাড়ে তিনশো টাকায় টমেটো তোলার কাজ করেন৷ তবে এর একটা অংশ চলে যায় মাফিয়াদের কাছে৷
বাংলাদেশিদের লক্ষ্য মালয়েশিয়া
আফ্রিকানদের যেমন ইউরোপ তথা ইটালি, বাংলাদেশিদের তেমন স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়া৷ কক্সবাজার থেকে ট্রলারে করে সাগর পাড়ি দিয়ে সেখানে যেতে আগ্রহী হন অনেক বাংলাদেশি বেকার যুবক৷ এমনটা করতে গিয়ে মারা পড়েন অনেকেই৷