‘পুরুষ' হয়ে কারাগারে জুলেখা!
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭কিন্তু পুলিশ আবিষ্কার করল এক ভিন্ন ঘটনা৷ জুলেখার বাবা-মা আসলে পয়সা উপার্জনের এক উপায় হিসেবে ব্যবহার করেন জুলেখাকে৷ ফেনীর ফুলগাজীর এই দম্পতি স্থানীয়দের জানান যে, জিনের সহায়তায় বিভিন্ন রোগবালাই, এমনকি লিঙ্গ পরিবর্তনও করতে পারেন তারা৷ প্রমাণ হিসেবে নিজেদের মেয়েকে ছেলে সাজিয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন৷ সরলমনা স্থানীয় মানুষ তাদের গল্পে বিশ্বাস করে রোগবালাই সারাতে জিনের সহায়তাও নিয়েছেন বলে খবর৷ টাকার বিনিময়েই তা করেছেন তারা৷
বাধ সেধেছে পুলিশ৷ ১৫ বছর বয়সি জুলেখাকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেল শারীরিকভাবে আসলে তার কোনো পরিবর্তনই হয়নি৷ বরং তাঁর যৌনাঙ্গের কাছে একটি রাবারের তৈরি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ বেঁধে তাকে পুরুষ হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছিল তার বাবা-মা৷ স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ জানান, কিশোরী এবং তার পিতামাতা জিনের মাধ্যমে মানুষের রোগবালাই সারানোর এক লাভজনক ব্যবসা শুরু করেছিল৷
আপাতত তাদের সবারই জায়গা হয়েছে কারাগারে৷ পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনার প্রস্তুতি চলছে৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের প্রায় নব্বই শতাংশই মুসলমান৷ দেশটির পল্লী অঞ্চলের অনেক মানুষ জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন৷ আর এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে কেউ কেউ ব্যবসা করেন৷ রোগবালাই থেকে নিস্তার ছাড়াও অনেক সময় অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করতেও জিনের আশ্রয় নেয়া হয়৷ তবে এই কুসংস্কারের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই৷
এআই/এসিবি (এএফপি)