1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি আফগানিস্তানে উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাবে

২৭ আগস্ট ২০২১

বৃহস্পতিবার কাবুল থেকে শেষ জার্মান সামরিক বিমানের প্রস্থানের পরেও নানা পথে মানুষের উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছে জার্মানি৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সপ্তাহান্তে প্রতিবেশী দেশগুলিতে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3zYIP
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীছবি: Armando Babani/Xinhua/picture alliance

আফগানিস্তানের পরিস্থিতির আচমকা অবনতির আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা তা প্রমাণ করে দিলে৷ এমন উত্তেজনার মাঝে সেদিন রাতে জার্মান বিমানবাহিনীর বিমান শেষবারের মতো জার্মান নাগরিক ও স্থানীয় আফগান কর্মীদের নিয়ে কাবুল ত্যাগ করলো৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সূত্র অনুযায়ী এ৪০০এম বিমানটি আহতদের উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল৷ পরিকল্পনা না থাকা সত্ত্বেও সেটি সন্ধ্যায় কাবুলে অবতরণ করে৷

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার জানিয়েছেন, সব জার্মান কূটনীতিক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার আরো তিনটি উড়াল কাবুল ত্যাগ করে৷ প্রত্যেকটি বিমানের গন্তব্য ছিল উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আগেই সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন৷ শেষ উড়াল সম্পর্কে তিনি বলেন, সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে এই অভিযান ছিল সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে বিপজ্জনক৷ তিনি মনে করিয়ে দেন যে, অন্যান্য দেশের জন্যও কাবুলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন৷

ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার আরো বলেন, সামরিক বাহিনীর শেষ উড়ালের মাধ্যমে কাবুল থেকে উদ্ধারের কাজ মোটেই শেষ হয় নি৷ কোনো বিরতি ছাড়াই এই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে৷ কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে কাবুল ত্যাগ করতে ইচ্ছুক মানুষদের প্রস্থান তরান্বিত করা হচ্ছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবারহার্ড সর্ন জানিয়েছেন, গত ১৬ই আগস্ট থেকে জার্মান সেনাবাহিনী ৪৫টি দেশের মোট ৫,২০০ মানুষকে উদ্ধার করেছে৷ এর মধ্যে ৪,২০০ আফগান ও ৫০৫ জন জার্মান নাগরিক৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, আফগানিস্তানে যে সব মানুষের প্রতি জার্মানির দায়িত্ব রয়েছে, তাদের নিরাপদে রাখার কাজ এখনো চলছে৷ সে দেশে বসবাসরত সব জার্মান নাগরিকের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রেখে চলেছে৷ উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রস্থানের ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে৷ প্রতিবেশী দেশগুলির জার্মান দূতাবাসগুলিকে জার্মান সেনাবাহিনী ও সরকারের জন্য কর্মরত সেই সব আফগান কর্মীদের জার্মানিতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগেই যাদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ মাস রবিবার উজবেকিস্তান, পাকিস্তান ও তাজিকিস্তান সফরে যাচ্ছেন৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার জানিয়েছেন, জার্মান সরকার আফগান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য ও তালেবানের প্রতিশোধের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবে৷ তাঁর মতে, সেই লক্ষ্যে তালেবানের সঙ্গে সংলাপ চালানো জরুরি৷

কাবুলে মোতায়েন জার্মানিসহ অন্যান্য দেশের বাহিনী মার্কিন সেনাবাহিনীর সুরক্ষার উপর নির্ভরশীল৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১শে আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অটল থাকার পর অন্যান্য দেশও তার আগে পাততাড়ি গুটানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে৷ বৃহস্পতিবারের সন্ত্রাসী হামলার পর সেই তৎপরতা আরও জোরালো হচ্ছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল কাবুলে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ তিনি আফগানিস্তান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক মানুষদের সহায়তা চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন৷ বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ম্যার্কেল সপ্তাহান্তে পরিকল্পিত ইসরায়েল সফর মুলতবি করেছেন৷ শনিবার সন্ধ্যায় তার এই সফর শুরু হবার কথা ছিল৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)