জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর সাতটি হানসিয়েটিক শহর
মধ্যযুগে বাল্টিক ও উত্তর সাগরের পাড়সহ বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রায় ২০০ শহর ‘হানসিয়েটিক লিগ’ এর অংশ ছিল৷ হানসিয়েটিক লিগ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন৷
ল্যুবেক
হানসিয়েটিক লিগের অন্তর্গত প্রায় ২০০ শহরের মধ্যে ল্যুবেক সবচেয়ে ধনী শহর ছিল৷ ‘হানসিয়েটিক লিগের রানি’ বলে পরিচিত এই শহর অনেক বছর ধরে হানসিয়েটিক লিগ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল৷ শহরের পুরনো অংশটি ১৯৮৭ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷ ল্যুবেকের ইউরোপিয়ান হানসেমিউজিয়ামে গেলে ব্যবসায়ী এই সংগঠনটির উত্থানপতনের কথা জানা যাবে৷ বর্তমানে জার্মানির ২৫টি শহর ‘হানসিয়েটিক’ নামে পরিচিত৷
হামবুর্গ
১৩ থেকে ১৫ শতক পর্যন্ত উত্তর ইউরোপের বাণিজ্যে হানসিয়েটিক লিগের আধিপত্য ছিল৷ ১৩২১ সালে হামবুর্গ এই লিগে যোগ দেয়৷ অবশ্য তাঁর আগে থেকেই সেখানে বন্দর ছিল৷ বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় স্থান হামবুর্গ বন্দর৷
ব্রেমেন
ব্রেমেনের ধনী ব্যবসায়ীরা ভেসার নদী দিয়ে তাঁদের পণ্য উত্তর সাগরে নিয়ে যেতেন৷ সেখান থেকে সারা বিশ্বে পৌঁছে যেত সেই পণ্য৷ শহরের মার্কেট স্কয়্যার গেলে মধ্যযুগে ব্রেমেনের নাগরিকদের আভিজাত্যের টের পাওয়া যায়৷ শহরের টাউন হল (বাম) ও রোল্যান্ড স্ট্যাচু ২০০৪ সাল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷
স্ট্রালসুন্ড
১৪ শতকে হানসিয়েটিক লিগের স্বর্ণযুগের সময় শহরগুলো দেখত কেমন ছিল তা জানতে বাল্টিক সাগরের পাড়ে অবস্থিত স্ট্রালসুন্ডে যাওয়া যেতে পারে৷ মধ্যযুগে শহরটির কেন্দ্রস্থলের নকশা যেমন ছিল তা এখনও প্রায় অপরিবর্তিত আছে৷
ভিসমার
শহরের মূল আকর্ষণ লাল ইটের তৈরি স্থাপত্য৷ উত্তর জার্মানিতে শুধু এমন সব ভবনের দেখা পাওয়া যাবে৷ স্টোরহাউস থেকে শুরু করে গির্জা সবই লাল ইট দিয়ে তৈরি৷ ২০০২ সালে পুরনো ভিসমারের সেন্টার বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হয়৷
রস্টক
বাল্টিক সাগরে পণ্য ওঠানামার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল রস্টক৷ শহরটি ‘গেটওয়ে টু স্ক্যান্ডিনেভিয়া’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল৷ বর্তমানে প্রতিবছর গ্রীষ্মে রস্টকে ‘হানসে সেইল’ নামে পাল তোলা নৌকার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই সময় ছোট, বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ’ ঐতিহ্যবাহী পাল তোলা জাহাজ রস্টক বন্দরে প্রবেশ করে৷ দর্শকরা সেগুলোতে উঠে দেখতে পারেন৷
ল্যুনেবুর্গ
মধ্যযুগে উত্তর জার্মানির সবচেয়ে বড় লবণ সরবরাহের শহর ছিল এটি৷ ল্যুনেবুর্গের খনি থেকে লবণ তোলা হতো, তারপর তা সারা বিশ্বে পৌঁছে দেয়া হতো৷ শহরের সল্ট মিউজিয়ামে গেলে লবণ তোলার ইতিহাস এবং সেটি শহরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা জানা যায়৷