জার্মানির প্রথম সফল স্বয়ংসম্পূর্ণ হোটেল
এটি টেকসই এবং আরামদায়ক৷ যদিও এটি একটি পূর্ণাঙ্গ হোটেলের সবকিছুই দিতে পারে না, তা সত্ত্বেও এটিই জার্মানির একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ হোটেল৷ বার্লিনের কাছের এই হোটেলে আপনি অতিপ্রয়োজনীয় কোনোকিছুর অভাব অনুভব করবেন না৷
ছোট ঘর, তবে ভিন্ন ধরনের
‘ভোনভাগন’ নামের এক অস্ট্রিয়ান প্রতিষ্ঠানের তৈরি এই ছোট হোটেলে একসঙ্গে দু’জন থাকতে পারেন৷ বার্লিন থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে সোসেন শহরে একটি প্রথাগত হোটেলের পাশে এই হোটেলটি রাখা হয়েছে৷ মজার বিষয় হচ্ছে, শুরুর পর থেকে এখন অবধি এই ছোট হোটেলে অতিথির কোনো অভাব হয়নি৷
ভেতরটা চমৎকার
না, এটা অবশ্যই কয়েক রুমের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট নয়৷ তবে ২৫ বর্গমিটারের এই থাকার স্থানে দু’জন মানুষের বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাওয়া যাবে৷ একটি প্রশস্ত বিছানা, বসার স্থান, বাথরুম এবং রান্নার জন্য চমৎকার জায়গা– সবই আছে৷ আর কোনো কিছুর অভাব অনুভব করছেন?
পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে তৈরি
হোটেল রুমটি তৈরির সময় পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে৷ এমন সব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে যা পুরোপুরি পুর্নব্যবহারযোগ্য কিংবা পরিবেশের ক্ষতি না করেই ধ্বংস করে ফেলা যায়৷ হোটেলটির দেয়ালের কিছু অংশে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে৷
মেষের পালক
হোটেলটির পরিবেশবান্ধব মান ঠিক রাখতে নির্মাতারা প্রথাগত নিরোধক উপাদান ব্যবহার করেননি৷ বরং তাঁরা শীতের সময় ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে মেষের পশম ব্যবহার করেছেন৷
ঘর গরম করতে কাঠ
বেশি শীত পরলে ঘর গরম রাখতে ফায়ারপ্লেস ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে কাঠ পুড়িয়ে কাজটি করা হবে৷ আর তাতে বাতাসে কার্বন নির্গমণের পরিমাণ বেশি হবে না৷ অর্থাৎ, কাঠ যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করেছিল, পোড়ানোর সময় সেই পরিমাণই আবার বাতাসে মিশে যাবে৷
পানিমুক্ত টয়লেট
হোটেলের টয়লেটে পানি ব্যবহারের ব্যবস্থা নেই৷ বরং, মলমূত্র আলাদাভাবে সংরক্ষনের ব্যবস্থা আছে৷ কারণ, এগুলো পরবর্তীতে সার হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে৷ ভেবে বসবেন না, এমন টয়লেট থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়৷ সুগন্ধি তেল ব্যবহার করে গন্ধ না ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে৷
সৌরশক্তির ব্যবহার
হোটেলটির বিদ্যুৎ এবং ঘর গরম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির কিছু অংশের উৎস হচ্ছে ছাদে বসানো সোলার প্যানেল৷ হোটেলের মালিক জানিয়েছেন, এই স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুব বেশি কিছু করার দরকার নেই৷ তবে, হোটেলের নিজস্ব ওয়াইফাই নেই৷ সেজন্য পাশে থাকা প্রথাগত অন্য হোটেলটির উপর নির্ভরশীল হতে হবে৷