1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির গাছ বাঁচাতে কাজ করা এক ভারতীয় বিজ্ঞানী

১৭ জানুয়ারি ২০২২

জার্মানির বনজঙ্গলে দুর্বল স্বাস্থ্যের গাছের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ এর অন্যতম একটা কারণ জলবায়ু পরিবর্তন৷

https://p.dw.com/p/45daa
ছবি: DW

জার্মানির কার্লসরুয়ের ‘ইনস্টিটিউট ফর টেকনোলজি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেমস অ্যানালিসিস' বা আইটিএস-এ কর্মরত ভারতীয় বিজ্ঞানী সোমিধ সাহার নেতৃত্বে একদল গবেষক জার্মানির অরণ্যকে ভবিষ্যতে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত করছেন

সরকারি হিসেব বলছে, জার্মানিতে দুর্বল গাছের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে৷ এমন গাছে বাকল পোকা সহজেই হামলা চালাতে পারে৷ সোমিধ সাহা বলেন, ‘‘এমনিতে বাকল পোকা আমাদের ইকো সিস্টেমের একটা অংশ৷ কিন্তু ইদানিং তারা অনেক গাছে হামলা করছে, কারণ খরার কারণে গাছগুলো দুর্বল হয়ে গেছে৷ আর আমরা জানি দুর্বল মানুষের শরীরে রোগ সহজে বাসা বাঁধে৷ গাছের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই৷''

জার্মানিতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ হেক্টর অরণ্য আছে৷ এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করেন কাঠ ব্যবসায়ীরা৷ মনোকালচার পদ্ধতিতে ফার, পাইন, বিচ জাতীয় গাছের চাষ করা হয়৷ খরায় এসব গাছের টিকে থাকতে সমস্যা হয়

জার্মানির জঙ্গলে দুর্বল গাছ বাঁচানোর গবেষণা

গবেষকরা নতুন চারা রোপন করছেন, গাছের মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছেন৷ এখন পর্যন্ত সামান্য সফলতাও পাওয়া গেছে৷

সোমিধ সাহা বলেন, ‘‘আপনি যখন জানেন যে, একটা গাছ মরে যাচ্ছে তখন কি সেটা তুলে সেখানে আবার একই জাতের গাছ লাগানো উচিত? আমারতো মনে হয়, এক্ষেত্রে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে৷ কারণ ঐ গাছটার হয়ত আবার বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা আছে৷ কিন্তু তুলে ফেললে সেই জাতটা হারিয়ে যাাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ ফলে আপনার এমন কোনো জাত দিয়ে চেষ্টা করা উচিত যেটা এই পরিবেশে নতুন, কিন্তু আক্রমণাত্মক বৈশিষ্ট্যের নয়৷''

স্থানীয় জাতের গাছের পরিবর্তে বেশি করে আক্রমণাত্মক বৈশিষ্ট্যের গাছ লাগানো হচ্ছে৷ যেমন বিষাক্ত ও বহুবর্ষজীবী গাছ, অ্যামেরিকান পোকউইড৷

কিন্তু গবেষকরা কীভাবে জানবেন যে, স্থানীয় নয় এমন কোন গাছ জার্মানির অরণ্যের জন্য ভালো হবে?

কার্লসরুয়ে প্যালেসের বাগানে বিশ্বের প্রায় সব জায়গার গাছ আছে৷ এর মধ্যে কিছু আছে যার বয়স ২০০ বছরের বেশি৷

সোমিধ সাহা বলেন, ‘‘আমার পরামর্শ হচ্ছে বাইরে থেকে নতুন কোনো জাত না এনে বরং এখানে বহু বছর ধরে আছে এমন বিদেশি জাতের চারা পরীক্ষা করে দেখা৷''

যেমন মধ্য ইউরোপে অ্যামেরিকার রেড ওক ভালোই মানিয়ে গেছে৷ এরা উষ্ণতা, খরা, এমনকি উচ্চ কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ পরিবেশেও ভালো মানিয়ে চলতে পারে৷ তাছাড়া এরা স্থানীয় জাতেরও কোনো ক্ষতি করে না৷

গবেষকরা আশা করছেন তাদের গবেষণা জার্মানির দুর্বল হয়ে পড়া অরণ্যকে আবার সতেজ হতে সহায়তা করবে৷ এমন অরণ্য তৈরি সম্ভব হবে যেটা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খেয়ে টিকে থাকতে পারবে৷

ভিবকে ফয়ারজেঙ্গার/জেডএইচ