1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির আখেন শান্তি পুরস্কার পেলো দুটি সংগঠন

১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করা রাশিয়ার শান্তিকামী নারীদের একটি নেটওয়ার্ক এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানবাধিকার কর্মীদের আইনি সহায়তা দেয়া একটি সংস্থাকে এ বছরের আখেন শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4Vpmn
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের বিচারের আহ্বান জানিয়ে বেশ কয়েকজন এফএআর কর্মী নেদারল্যান্ডসের হেগে গিয়েছিলেন
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের বিচারের আহ্বান জানিয়ে বেশ কয়েকজন এফএআর কর্মী নেদারল্যান্ডসের হেগে গিয়েছিলেনছবি: Feminist Anti-War Resistance

তিনশোর বেশি ব্যক্তি এবং ৫০টির বেশি ধর্মীয়, রাজনৈতিক, শ্রমিক সংগঠন ও সামাজিক গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংগঠন প্রতিবছর আখেন শান্তি পুরস্কার দিয়ে থাকে৷ ১৯৮৮ সালে প্রথম এটি দেয়া হয়েছিল৷ ১ সেপ্টেম্বর জার্মানির যুদ্ধবিরোধী দিবসে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়৷

ফার নেটওয়ার্ক

‘ফেমিনিস্ট অ্যান্টি-ওয়ার রেসিস্টেন্স' এফএআর বা ফার রাশিয়ার শান্তিকামী নারীদের একটি নেটওয়ার্ক যেটি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে৷ ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরদিন এর সমালোচনা করে অনলাইনে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছিল ফার৷ এরপর ইউক্রেনের মারিউপলে রুশ বাহিনী কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিককে হত্যা করলে তার প্রতিবাদ জানান ফার নেটওয়ার্কের কর্মীরা৷ এছাড়া যুদ্ধবিরোধী স্টিকার বিতরণ এবং সুপারমার্কেটে পণ্যের মূল্যের উপর যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা সম্বলিত স্টিকার সেঁটে দিয়েছিলেন তারা৷

বর্তমানে এই নেটওয়ার্ক রাশিয়ার ভেতর ও বাইরে থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে৷

ফার নেটওয়ার্কের এক সদস্য একাতেরিনা (নিরাপত্তার খাতিরে পুরো নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না) বর্তমানে জার্মানিতে বাস করছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ফার-এর কর্মীরা রাশিয়ার সব বড় শহরে কাজ করছেন৷ তারা আবাসিক ভবনে গোপনে শান্তিকামী সংবাদপত্র বিতরণ করে থাকেন৷ এসব সংবাদপত্রে রেসিপির আড়ালে পুরুষেরা কীভাবে যুদ্ধে যাওয়া এড়াতে পারেন সেই সব কৌশল থাকে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান জার্মানিতে বাস করা ফার-এর আরেক কর্মী ওলগা৷ এসব কাজ ছাড়াও ফার আরও যেসব কাজ করছে সেগুলোর খবর কোথাও প্রকাশ করা হয় না৷ এমনকি এসব কাজে যুক্ত অনেক কর্মীও তা জানেন না৷ নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে আইনি উপদেশ, মানসিক পরামর্শইত্যাদিও দেয়া হয়ে থাকে৷

এইচআরডিএফ

আখেন শান্তি পুরস্কার পাওয়া আরেক সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফান্ড' বা এইচআরডিএফ৷ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানবাধিকার কর্মীদেরআইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে এই সংগঠন৷

ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরোধিতা করা, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সংখ্যালঘুদের নাগরিক অধিকার রক্ষা, এলজিবিটি অধিকার ও জলবায়ু নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে এইচআরডিএফ৷

একটি হটলাইনের মাধ্যমে এই সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়৷ অহিংস আন্দোলনের সময় ইসরায়েলের পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর হাতের গ্রেপ্তার হওয়া ইসরায়েলি বা ফিলিস্তিনিরা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন৷ ‘‘তাদের জানা প্রয়োজন যে আমরা তাদের জন্য আছি,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন এইচআরডিএফ এর আরিয়েল সাদি গর্ডন৷

রোমান গনশারেঙ্কো, তানিয়া ক্র্যামার/জেডএইচ