1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কয়েদিদের মামলা

২৮ এপ্রিল ২০২২

দুই কয়েদি মনে করেন, কারাগারে কাজ করে যে মজুরি পান তাতে সংসার চালানো এবং ঋণ পরিশোধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা একেবারেই সম্ভব নয়৷ তাই ন্যায়সঙ্গত মজুরি নির্ধারণের দাবিতে মামলা করেছেন তারা৷

https://p.dw.com/p/4AZ4Z
Karlsruhe | Bundesverfassungsgericht verhandelt zu Bezahlung von Strafgefangen
ছবি: Uli Deck/dpa/picture alliance

জেলখানায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে জার্মানির কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালতে মামলা করেছেন বাভারিয়া এবং নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের দুই কয়েদি৷ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বুধবার৷

মামলার বিবরণে দুই বাদির পক্ষ থেকে বলা হয়, কারা কর্তৃপক্ষ কাজের বিনিময়ে তাদের যে মজুরি দেয়, তা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের খরচ জোগানো সম্ভব হয় না, উল্টে মামলার খরচ বহন করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হতে হয়৷ এই পরিস্থিতি কারামুক্তির পর সমাজে পুনর্বাসন অনেক কঠিন করে তুলবে বলে তাদের আশঙ্কা৷

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, কয়েদিদের মজুরি নির্ধারণ করা হয় তাদের কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে৷ কয়েদিদের অনেকেই সামান্য লেখাপড়া এবং দক্ষতা নিয়ে কাজ করেন৷ বিদেশিদের অনেকে জার্মান ভাষা জানেন না বলে তাদের ‘উৎপাদনক্ষমতা' আরো কম৷ এর বাইরে অনেক কয়েদি শারীরিকভাগে দুর্বল বা মানসিক বিসাদগ্রস্ত, কেউ কেউ আবার নেশাগ্রস্ত বলেও কোনো কাজ ঠিকভাবে করতে পারেন না৷ সব মিলিয়ে কারাগারে যে মজুরি দেয়া হয় তা যৌক্তিক বলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি৷

তবে জার্মানির ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডোরিস ক্যোনিগ মনে করেন,

জেলখানায় যে ‘সম্মানী' দেয়া হয় তা সাংবিধানে কয়েদিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে বর্ণিত ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা যাচাই করে দেখা দরকার৷

কয়েদিদের পারিশ্রমিক

ক্যোনিগ জানান, জার্মানিতে কয়েদিদের কাজভেদে ঘণ্টায় ১.৩৭ ইউরো থেকে ২.৩০ ইউরো (১.৪৫ ডলার থেকে্ ২.৪৩ ডলার) হারে মজুরি দেয়া হয়৷ এর ফলে প্রত্যেক কয়েদি প্রতিদিন গড়ে ১১ ইউরো থেকে সর্বোচ্চ ১৮.৪০ ইউরো আয় করতে পারেন৷

তবে কয়েদিদের পেছনে খরচও কম নয়৷ তাদের থাকা-খাওয়ার খরচ, এমনকি বেকার হিসেবে বিমার টাকাও দিতে হয় রাজ্য সরকারকে৷ কয়েদিরা কাজের বিনিময়ে যে আয় করেন তার সাত ভাগের তিনভাগ কফি, সিগারেট, খেলাধুলার সামগ্রী ইত্যাদি কেনার জন্য ব্যয় করতে পারেন৷

বাভারিয়া অঞ্চলের বাদি মনে করেন, কয়েদিদের কম পারিশ্রমিকে খাটিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে৷ বাভারিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় অবশ্য তা অস্বীকার করেছে৷ নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ও বলেছে, বাদির ধারণা সম্পূর্ণ ভুল৷ মন্ত্রণালয় মনে করে, কয়েদিদের কাজ এমনিতে লাভজনক মনে করার মতো নয়, বরং সমাজে পুনর্বাসিত হতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যেই তাদের দিয়ে কাজ করানো হয়৷

এসিবি/ কেএম (এএফপি, ডিপিএ)