1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসকদের ধর্মঘট

৩০ জানুয়ারি ২০২৪

জার্মানিতে ২৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা এবার ধর্মঘটে নামছেন। বেতন ও কাজের সময় সংক্রান্ত দাবিতে।

https://p.dw.com/p/4boha
স্টেথোস্কোপ হাতে এক চিকিৎসক
জার্মানির ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা ধর্মঘটে নামছেনছবি: Patrick Seeger/dpa/picture alliance

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়নের নেতারা এই নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু সেই আলোচনায় কোনো ফল হয়নি।

তারপরই এই হাসপাতালগুলির হাজার হাজার চিকিৎসক মঙ্গলবারে ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা উত্তর জার্মানির শহর হ্যানোভারে সমবেত হবেন এবং বেতন বাড়ানো এবং অনিয়মিত কাজের সময়ের পরিবর্তে নির্দিষ্ট সময়ের দাবিতে বিক্ষোভ জানাবেন।

চিকিৎসকদের ট্রেড ইউনিয়নের দাবি, চিকিৎসকদের বেতন ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়াতে হবে। নিয়মিত নাইট ডিউটি, শনিবার ও ছুটির দিনে কাজ করলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে।

জার্মানির এই বিশ্ববিদ্যালয় হাসাপাতালগুলিতে ২০ হাজারের বেশি চিকিৎসক আছেন। তাদের বেতন সরকার দেয়।

ইউনিয়নের নেতা বটজলার ডিপিএ-কে বলেছেন, ''জতীয় সরকার এটা মানতে চাইছে না যে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসাপাতলগুলি সমানে পিছিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের বেতন ও কাজের পরিবেশের বিচারে তারা আরো পিছিয়ে যাবে।''

তিনি বলেছেন, ''অন্য মেডিক্য়াল সংস্থার তুলনায় এই হাসপাতালগুলিতে বেতন কম ও কাজের সময় বেশি। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা এখানে আর আসতে চাইছেন না।''

তিনি জানিয়েছেন, ''সরকার ভাবছে, একটু-আধটু পরিবর্তন করে করবে, তারপর বলবে সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তারা ভুল করছে। তারা যদি দাবি না মানে, তাহলে ডাক্তারদের ক্ষোভ বাড়বে।''

সরকারের আশা

সরকারের তরফ থেকে প্রধান আলোচনাকারী মনিকা হার্নল্ড বলেছেন, ''শেষ পর্য়ায়ের আলোচনা চলছিল এবং তাতে চুক্তি হয়নি। আলোচনা ভেস্তে যায়।''

তিনি বলেছেন, ''আমরাও চাই এই হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকরা যে ভালো কাজ করছেন, তার বিনিময়ে তারা উপযুক্ত অর্থ পান। ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী পর্য়ায়ের আলোচনা হবে। তখন নিশ্চয়ই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।''

ধর্মঘট সত্ত্বেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কাজ চালু থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, জরুরি পরিষেবা চালু রাখার জন্য ম্যানেজাররা আইনত বাধ্য। তবে ক্লিনিকের পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে। জরুরি নয় এমন অপারেশনও পরে করা হবে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)