জার্মানরা নানাভাবে আলু খায়
অনেকের ধারণা আলু খেলে মোটা হয়৷ এ ধারণা পুরোপুরি ভুল৷ আলু অল্প খেলেই পেট ভরে যায়৷ এতে প্রচুর প্রোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে৷ জার্মানরা বর্তমানে জন প্রতি ৬০ কেজি আলু খেয়ে থাকেন বছরে৷
আলু কে না চেনে?
আলুর আদি উৎস অ্যামেরিকায়৷ ১৬শ শতকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে আলু৷ উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন এবং সহজে ফলানো ও সংরক্ষণ করা যায় বলে তা বিশ্বের সব দেশেই কম বেশি খাওয়া হয়৷ তবে জার্মানদের খাবার টেবিলে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে আলু থাকে৷
দুপুরে অবশ্যই আলু চাই
জার্মানদের দুপুরের খাবার, অর্থাৎ গরম খাবারে অবশ্যই আলু থাকে, তা বাড়িতে হোক আর আমাদের ক্যান্টিনেই হোক না কেন৷ সাধারণত মাছ বা মাংসের সাথে সেদ্ধ আলু খাওয়া হয়৷ বাঙালিদের যেমন ভাত না হলে চলে না, ঠিক সেরকমই জার্মানরা ভালোবাসে আলু খেতে৷
রাইবে কুখেন বা আলুর পাকোড়া
বিশেষ উপলক্ষ্যগুলোতেও আলুর তৈরি নানা খাবার থাকে৷ যেমন বড়দিনের সময়টাতে, অর্থাৎ নভেম্বর মাসের শেষ থেকে বড়দিনের ঠিক আগেরদিন পর্যন্ত যে বাজার হয়, সেখানে অবশ্যই ‘রাইবে কুখেন’ বা আলুর পাকোড়া থাকতে হবে৷ অনেক জার্মান শুধুমাত্র এই পাকোড়া খাওয়ার জন্যই এই বড়দিনের এই মার্কেটে যায়৷
৬০ কেজি আলু জন প্রতি
অনেকের ধারণা আলু খেলে মোটা হয়৷ এ ধারণা পুরোপুরি ভুল৷ আলু অল্প খেলেই পেট ভরে যায়৷ এতে প্রচুর প্রোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে৷ জার্মানরা বর্তমানে জন প্রতি ৬০ কেজি আলু খেয়ে থাকেন বছরে৷ আগে এর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি৷ আজকাল জার্মান খাবারে অনেক বিদেশি খাবার যোগ হওয়ায় আলু খাওয়া কমেছে৷
সুস্থ থাকতে হলে আলু খান
আলুতে একদিকে যেমন ভাতের মতো শর্করা আছে তেমনি সবজির মতো খাবার আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ প্রোটিন আছে৷ তাই ডাক্তাররাও আলু খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ বিশেষ করে যাদের ‘অ্যাসিডিটি’-র সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য আলু খুবই উপকারী৷
আঙ্গেলা ম্যার্কেলও আলুর ভক্ত
জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল আলুর স্যুপ খেতে খুবই পছন্দ করেন এবং তেমনি পছন্দ করেন সেটা তৈরি করতে৷ নির্বাচনি প্রচারণাকালীন এক টিভি সাক্ষাৎকারের সময় তিনি একথা বলেছেন৷ তাছাড়া তাঁর নিজের বাড়ির ছোট্ট বাগানেও তিনি আলুর চাষ করেন নিজে৷ সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এবং জটিল রাজনীতি থেকে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতে বাগান করাকেই তিনি বেছে নিয়েছেন৷
আলুর সালাদ
সালাদ বলতে সাধারণত শষা, টমোটো বা সবুজ সালাদ বুঝে থাকি আমরা৷ কিন্তু জার্মানদের কাছে আলুর সালাদ খুবই জনপ্রিয়৷ বিশেষকরে গ্রিল পার্টি, জন্মদিন বা অন্য যে কোনো উৎসবে আলুর একটা সালাদ থাকা যে চাই-ই!
আলুর তৈরি ‘ফ্রেঞ্চফ্রাই’
গরম গরম ভাজি আলু বা সেদ্ধ ঠাণ্ডা আলু বা সালাদ সবই তাদের কাছে সমান প্রিয়৷ সোজা কথায় বলা যায়, ছোট-বড়, ছেলে-বুড়ো সবাই আলু খেতে ভালোবাসে৷ আলুর তৈরি ‘ফ্রেঞ্চফ্রাই’ ছাড়া তো কোনো ফাস্টফুডের দোকানই চলবে না, যা বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার৷