1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থা

জাতিসংঘের আদালতে গাজা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু

১১ জানুয়ারি ২০২৪

ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আর্জি জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা৷ নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত জাতিসংঘের এই শীর্ষ আদালতে শুরু হয়েছে গাজা গণহত্যা মামলার শুনানি৷

https://p.dw.com/p/4b7dP
Niederlande | Internationaler Gerichtshof in Den Haag zum Nahostkonflikt
ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আর্জি জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা৷ ছবি: Thilo Schmuelgen/REUTERS

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল, এমন অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে সাউথ আফ্রিকা। দেশটির দাবি, গাজায় ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।

শুক্রবার এই অভিযোগের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া শুনবে আদালত।

সাউথ আফ্রিকা অবশ্য শুরুতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে জরুরি স্থগিতাদেশ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। গণহত্যার অভিযোগের মামলা শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।

উদ্বোধনী মন্তব্যে সাউথ আফ্রিকার প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ মলা, ইসরায়েলের বর্তমান কর্মকাণ্ডের সাফাই হতে পারে না।

৭ অক্টোবরের হামলায় ১১শ জনেরও বেশি ইসরায়েলি মারা যান, যাদের বেশিরভাগ ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিক গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সামরিক ও বেসামরিক মৃ্ত্যুর আলাদা হিসাব প্রকাশ করে না। তবে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া এই সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করে।

সাউথ আফ্রিকার প্রতিনিধিরা বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘটিত কিছু কাজ জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের বিরুদ্ধে গেছে এবং সেই কাজগুলোকে ৭ অক্টোবরের হামলার উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।

সাউথ আফ্রিকার বিচারমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা বলেছেন, "কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সশস্ত্র আক্রমণ যতই গুরুতর হোক না কেন...এই কনভেনশন (গণহত্যা কনভেনশন) লঙ্ঘনের যুক্তি হিসাবে সেটা দাঁড় করানো যেতে পারে না।"

সাউথ আফ্রিকার প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, ইসরায়েল যে পরিমাণ বোমাবর্ষণ করেছে তা অভূতপূর্ব এবং গাজা উপত্যকাকে ইসরায়েল কার্যত বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে৷

উভয় পক্ষের প্রতিবাদের মধ্যেই চলছে শুনানি।

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন 'পুরোপুরি মেনে' যুদ্ধ চালাচ্ছে

ইসরায়েল এই গণহত্যার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং হামাসের পক্ষে "শয়তানের উকিল" হিসাবে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। হামাসকে ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মানিসহ অন্য অনেক দেশের সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বিবেচনা করে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ সব আন্তর্জাতিক আইন মেনেই পরিচালনা করা হচ্ছে। গাজা স্থায়ীভাবে দখল করা বা সেখান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে ফেলার কোনো উদ্দেশ্য ইসরায়েলের নেই বলেও জানিয়েছিন তিনি।

নেতানিয়াহু বলেন, "আমার লক্ষ্য গাজা থেকে হামাস সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা এবং আমাদের জিম্মিদের উদ্ধার করা।"

তিনি বলেন, "আইডিএফ (ইসরায়েলের সেনাবাহিনী) বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, কিন্তু হামাস বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করে সেটা বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।"

এদিকে সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা মামলা করার কারণটি 'নীতিগত' বলে বর্ণনা করেছেন।

বুধবার তিনি বলেন, ‘‘গাজার জনগণের ওপর চলমান হত্যাকাণ্ডে আমাদের বিরোধিতা রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের আইসিজেতে যেতে বাধ্য করেছে।’’

রামাফোসা বলেন, "একসময় আমরা ক্ষমতাহীনতা, বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতার তিক্ত ফল আস্বাদন করেছি। ইতিহাসের সঠিক পথে আমাদের অবস্থান থাকবে।’’

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য