1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ুর ধাক্কা সামলাতে প্রযুক্তির ব্যবহার

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানোর উদ্যোগ প্রয়োজন৷ সেই কাজে সহায়ক প্রযুক্তির পেছনে যথেষ্ট বিনিয়োগ হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/4cwAH
লবণাক্ততা
চলতি বছরেই এক লাখ আশি কোটি ডলার ‘ক্লিনটেক' -এ বিনিয়োগ করা হবেছবি: DW

নমনীয় সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে হাঁটার সময় জ্বালানি উৎপাদন – আমাদের মুমূর্ষু গ্রহটিকে বাঁচাতে আইডিয়ার কোনো অভাব নেই৷ শুধু চলতি বছরেই নাকি এক লাখ আশি কোটি ডলার তথাকথিত ‘ক্লিনটেক' ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে৷ অর্থাৎ আমাদের কার্বন নির্গমন কমাতে সেই অর্থ ঢালা হচ্ছে৷ হাজার হাজার উদ্যোগপতির জন্য সেটা বিশাল এক অংক বটে৷

কিন্তু এই সব ব্যবসা কি ভবিষ্যতের গতি বদলাতে পারবে?

ক্লিনটেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইডিয়া থেকে বড় আকারে উৎপাদন, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের নীতি, প্রতিশ্রুতি ও সমস্যার দিকে নজর দেওয়া যাক৷

জার্মানির ওসট্রোম কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা মাটিয়াস মার্টেনসেন নিজের কোম্পানি সম্পর্কে জানালেন৷ তাঁরা ক্লিনটেক সফ্টওয়্যার সৃষ্টি করেছেন৷ সেই অ্যাপ মানুষকে জীবাশ্ম জ্বালানি ছেড়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির পথে এগোতে সাহায্য করে৷

পৃথিবী বাঁচাতে প্রযুক্তি

এর মাধ্যমে কতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, মানুষ তা জানতে পারে৷ বা বিদ্যুতের জন্য কম মাসুল দিতে কখন ডিভাইসগুলি ব্যবহার করা উচিত, সে বিষয়েও পরামর্শ পাওয়া যায়৷ মাটিয়াস বলেন, সারা দিনে প্রতিটি ঘণ্টায় মাসুল বদলে যায়৷ যেমন সকালে মাসুল অত্যন্ত বেশি হয়৷ অনেক রোদ উঠলে দাম কমে যেতে পারে৷ আবার দাম বেড়েও যেতে পারে৷ বিদ্যুতের মাসুল কম হলে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন, আমরা সেটাই চাই৷

মাটিয়াস সেই হাজার হাজার নতুন উদ্যোগপতিদের একজন, যিনি বাজারে একটা শূন্যস্থান দেখতে পাচ্ছেন৷ অর্থাৎ আমাদের গ্রহ বাঁচাতে ‘ক্লিনটেক' প্রযুক্তির এখনো অনেক অভাব রয়েছে৷

জীবাশ্ম জ্বালানি ত্যাগ করে আরো নতুন ও পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রার প্রবণতা আট বছর আগে বেশ জোরালো উৎসাহ পেয়েছিল৷ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা সীমিত রাখার চেষ্টা করতে বিশ্বনেতারা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷ প্রকৃতির সুরক্ষা করেও আরামদায়ক জীবন বজায় রাখাই হলো সেই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ বেঁধে দেওয়া সেই তাপমাত্রা হলো দেড় ডিগ্রি আর চুক্তিটির নাম প্যারিস এগ্রিমেন্ট৷

তারপর ইইউ দেশগুলি একটি অঙ্গীকার করলো৷ ইইউ-র মতে, ‘ইউরোপীয় গ্রিন ডিল জলবায়ুর জন্য৷ মানুষের জন্যও সেটা ভালো৷ ২০৫০ সালের মধ্যে তারা বায়ুমণ্ডল থেকে দূষণের সমান পরিমাণ কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে৷

তবে দুই বছর আগে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার জের ধরে আমাদের জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন ঘটেছে৷ অনেক দেশ পুটিনের উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে অন্য সূত্র থেকে তেল সংগ্রহের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল৷ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সরবরাহে আরো বিনিয়োগ করে তারা দীর্ঘমেয়াদী নীতি গ্রহণ করেছে৷ কারণ একই বছরে মার্কিন প্রশাসন ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট' নামের আইন প্রণয়ন করে বিশাল ধাক্কা দিয়েছে৷ ‘অ্যামেরিকার মতে, এই আইন জলবায়ুর ক্ষেত্রে সর্বকালের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ৷

আবার মূল প্রশ্নে ফেরা যাক৷ পরিস্থিতি সত্যি বদলাতে চাইলে ক্লিনটেক কোম্পানিগুলির আরো অর্থায়নের প্রয়োজন৷ বর্তমানে এ ক্ষেত্রে বিপুল ঘাটতি রয়েছে৷ সেইসঙ্গে চাই মানানসই সরকারি নীতি৷ তা না হলে পরিবর্তন কার্যকর হবে না৷

জলবায়ু সংক্রান্ত অঙ্গীকার সত্যি কার্যকর করতে হলে ২০৩০-এর দশকের শুরু থেকে বছরে সাড়ে চার লাখ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে৷

বড় কোম্পানি, ব্যাংক ও বিশাল পেনশন ফান্ড জলবায়ু সুরক্ষার লক্ষ্যে আসরে নামলে তবেই সেই পরিবর্তন আসবে৷ কারণ বর্তমানে আমাদের গ্রহের নিরাপত্তা ও ক্লিনটেক প্রযুক্তির প্রয়োগের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে৷

ইভলিন ম্যাকক্ল্যাফার্টি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান