জর্ডানে করের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে বিভিন্ন শর্তে ঋণ নিয়েছিল জর্ডান৷ সেই শর্তগুলো বাস্তবায়নে জ্বালানির দাম কয়েকদফা বাড়ানোর পাশাপাশি কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়৷ ফলে জনগণের বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে৷
করারোপ
ব্যক্তিগত কর ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে উত্থাপনের বিরুদ্ধে জর্ডানে গতমাসের শেষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ প্রস্তাবে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ হারে কোম্পানিগুলোরও কর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে৷
আইএমএফের প্রেসক্রিপশন
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৭২ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ নেওয়ার শর্ত পূরণের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেয় জর্ডান সরকার৷ সরকারের ব্যয় কমানো এবং করারোপের এ পরামর্শ দেশটিতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়৷
বিক্ষোভকারীদের জড়ো হওয়া
৩০ মে দেশটির ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে সরকার পতনের ডাক দেওয়ার পর থেকে পুরো জর্ডানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ রাজধানী আম্মান থেকে শুরু করে অন্যান্য শহরেও মানুষের ঢল নামে৷
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
৪ জুন বিক্ষোভ চলার সাতদিনের মাথায় জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী হানি মুলকি পদত্যাগ করেন৷
নতুন প্রধানমন্ত্রী
পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হানি মুলকির স্থলাভিষিক্ত হোন ওমর আল রাজ্জাজ, যিনি দেশটির শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন৷
মূল্যস্ফীতি
এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে৷ এর মধ্যে এসব পণ্যের ওপর আরও কর বসানো হয়েছে৷ দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ দফা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আর বছরের শুরু থেকে বিদ্যুতের দামও ৫৫ শতাংশ বেড়েছে৷
বেকারত্ব ও শরণার্থী সংকট
জর্ডান সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ কোটি ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থী জর্ডানে বসবাস করছে৷ এছাড়াও ৭৫ হাজার ইরাকি শরণার্থী রয়েছে সেখানে৷ দেশটির শিক্ষা, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবায়, যা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে৷ ফলে দিন দিন দেশটির বেকারত্ব বাড়ছে আর জীবনযাত্রার মান কমছে৷