1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জরুরি পরিস্থিতিতে ইউরোপের ঐক্যের পরীক্ষা

২২ এপ্রিল ২০২০

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে করোনা সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক প্যাকেজ অনুমোদনের চেষ্টা চলছে৷ এখনো উত্তর ও দক্ষিণের দেশগুলির মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/3bFHB
ছবি: Getty Images/AFP/O. Messinger

করোনা সংকটের মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঐক্যের অভাব ঘরে-বাইরে এই রাষ্ট্রজোটের ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে৷ বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর প্রশ্নে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইইউ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে আবার ঐকমত্য অর্জনের চেষ্টা চালানো হবে৷ সদস্য দেশগুলি মতপার্থক্য কাটিয়ে সংকটের মোকাবিলা করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ একমাত্র বাজেট ঘাটতি ও ঋণভার সংক্রান্ত নিয়ম সাময়িকভাবে শিথিল করার বিষয়ে ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে৷

সবার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দীর্ঘমেয়াদী বাজেট স্থির করতে হবে৷ ব্রেক্সিটের ফলে অবশিষ্ট ২৭টি সদস্য দেশগুলিকে সেই তহবিলের জন্য অর্থ ভাগ করে নিতে হবে৷ সব দেশের সম্মতি ছাড়া সেই বাজেট অনুমোদন করা সম্ভব নয়৷ ২০২১ থেকে ২০২৭ সালের এই বাজেটের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব এক পুনরুদ্ধার তহবিল যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইইউ দেশগুলির সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল৷

করোনা সংকট সামলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফেরার লক্ষ্যেও কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে ইইউ৷ ইইউ কমিশনের আশঙ্কা, বর্তমান সংকটের ফলে অর্থনীতির প্রায় দশ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে৷ সেই ধাক্কা সামলাতে দেড় লাখ কোটি ইউরো অঙ্কের এক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি স্থির করার চেষ্টা চলছে৷

সদস্য দেশগুলির সহায়তার প্রশ্নে ইউরোপের উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা চলছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণের দেশগুলির দীর্ঘদিনের বিশাল বাজেট ঘাটতি ও ঋণভারের দায় ভাগ করে নেবার প্রশ্নে জার্মানিসহ উত্তরের অনেক দেশের অবস্থান অনড় রয়েছে৷ তাই ‘করোনা বন্ড'-এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সেই দায় ভাগ করে নেবার প্রশ্নেও বিরোধিতা করে চলেছে এই দেশগুলি৷ সংকটের সুযোগ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের আশঙ্কাও তারা দূর করতে চায়৷ জরুরি অবস্থায় নেওয়া যে কোনো পদক্ষেপের নির্দিষ্ট সময়সীমা স্থির করার উপরও জোর দিচ্ছে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনের মতো দেশ৷ তাছাড়া তাদের মতে, বাড়তি আর্থিক সহায়তা ঋণ হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে৷ অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ঋণ ফেরত দেবার শর্ত মেনে নিতে হবে৷

এই ব্যবধান কাটাতে ইইউ কমিশন দুই শিবিরের মধ্যে আপোশের চেষ্টা করছে৷ যৌথ তহবিল গঠন করে এবং সদস্য দেশগুলির ২০২১-২০২২ সালের বাজেটের জন্য গ্যারেন্টি সাময়িকভাবে বাড়িয়ে অর্থের ‘অপব্যবহার’ সংক্রান্ত আশঙ্কা দূর করতে চায় কমিশন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি তরান্বিত করতে এমন সব উদ্যোগের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ সেক্ষেত্রে জাতীয় সরকারের বদলে ইইউ কমিশনের মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করা হবে৷

বৃহস্পতিবারের শীর্ষ সম্মেলনে কিছু পদক্ষেপ অনুমোদন করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ এর আওতায় বেকারত্ব প্রতিরোধ করতে বেতন ও মজুরির ক্ষেত্রে সরকারি ভরতুকি, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মাধ্যমে বিপর্যস্ত কোম্পানিগুলির জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও ইউরো এলাকার বেলআউট তহবিল থেকে কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে৷ জুন মাসেই এই সব পদক্ষেপ কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)