1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জমি কেলেঙ্কারিতে ইডি-র চার্জশিটে নাম প্রিয়াঙ্কার

২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং তার স্বামী রবার্ট বঢরার নাম উঠল ইডি-র চার্জশিটে। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এই নাম এসেছে।

https://p.dw.com/p/4aeLM
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গানধী
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম ইডি-র চার্জশিটেছবি: Imtiyaz Khan/Pacific Press/picture alliance

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আগেই সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে অভিযুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নামেও চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। ফলে বিরোধী কংগ্রেসের প্রধান শক্তি গান্থী পরিবারের তিন প্রধান সদস্যের বিরুদ্ধেই আর্থিক কেলেঙ্করির অভিযোগ করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

হরিয়ানায় পাঁচ একর জমি কেনাবেচা নিয়ে একটি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিটে নাম উঠেছে কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং তার স্বামী রবার্ট বঢরার। তবে ইডি সূত্রে জানা গেছে, দুজনের নাম চার্জশিটে থাকলেও কাউকেই অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়নি। মূল অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে তাদের নাম এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি-র চার্জশিটে দুই মূল অভিযুক্ত সিসি থাম্পি এবং সুমিত চাড্ডা। সিসি থাম্পি একজন এনআরআই ব্যবসায়ী। অন্যদিকে সুমিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যেই থাকেন তিনি।

সঞ্জয় ভান্ডারী নামে এক জনৈক অস্ত্র বিক্রেতাকে অবৈধ লেনদেনে এই দুই ব্যক্তি সাহায্য করেছিলেন বলে ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে।

এর আগে প্রিয়াঙ্কা এবং রবার্টকে আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে দিল্লি লাগোয়া ফরিদাবাদে একটি জমি কিনেছিলেন তিনি। জমিটি কিনেছিলেন এইচএল পাওয়া নামক এক জমির দালালের কাছ থেকে। চার বছর পর ২০১০ সালে সেই জমিটি পাওয়াকেই ফের বিক্রি করে দেন তিনি। একইভাবে ফরিদাবাদে একটি বাড়িও কিনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১০ সালে তা আবার পাওয়াকে বিক্রি করে দেন তিনি।

রবার্টও একই কাজ করেছেন। ২০০৫ এবং '০৬ সালের মধ্যে পাওয়ার কাছ থেকে আমিপুরে ৪০ দশমিক আট একর জমি কিনেছিলেন বঢরা। ২০১০ সালে পাওয়াকেই সেই জমি বিক্রি করে দেন তিনি। থাম্পি পাওয়ার সঙ্গে একই রকমের একটি করেন ওই সময়েই। জমির পরিমাণ ৪৮৬ একর। এই পাওয়ার সূত্র ধরেই ইডি প্রিয়াঙ্কা এবং রবার্টকে থাম্পির সঙ্গে যুক্তকরেছে। ইডি-র বক্তব্য, থাম্পির সঙ্গে যোগসূত্র ছিল বঢরা দম্পতির।

প্রিয়াঙ্কা বা রবার্ট এখনো পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। এই প্রথম তাদের নাম কোনো চার্জশিটে উঠল। দিল্লির কংগ্রেস নেতারাও এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের এরকম অনেক কিছুই হবে।

বস্তুত, এর আগে কংগ্রেস-সহ অবিজেপি একাধিক দল অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-- সকলকেই ইডি-সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। এদিনের ঘটনাও তেমনই আরেক দৃষ্টান্ত বলে দাবি করেছেন হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)