1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জট কাটলো রাতে

৩ মে ২০২১

টান টান নাটকের পর নন্দীগ্রাম জট কেটেছে রোববার গভীর রাতে। কী ভাবে কাটল জট?

https://p.dw.com/p/3ssCH
শুভেন্দু অধিকারী
ছবি: Privat

তৃণমূলের ল্যান্ড স্লাইড জয়। কিন্তু দুধে চোনার মতো হয়ে থাকলো নন্দীগ্রাম। দিনভর জলঘোলার পর রাতে জানা গেল ১৭৩৬ ভোটে জয় হয়েছে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। তবে তার আগে নাটক হয়েছে অনেক।

নাটকের সূত্রপাত রোববার বিকেল সাড়েটেয়। সংবাদসংস্থা এএনআই টুইট করে ঘোষণা করে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ ভোটে জিতে গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যমে সে খবরের প্রচার শুরু হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ আগেই প্রশান্ত কিশোরের কোম্পানি আই প্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ডিডাব্লিউ। তাদের তরফ থেকেও জানানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হয়েছে নন্দীগ্রামে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও নির্বাচন কমিশন বা নন্দীগ্রামের কাউন্টিং স্টেশন থেকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এক সময় জানা যায়, সার্ভারের গন্ডগোলের জন্য প্রায় দুই ঘণ্টা গণনা বন্ধ ছিল। সে কারণে সর্বশেষ ফলাফল জানা যায়নি। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করতে শুরু করেন, মমতা নয়, জয় হয়েছে তার। শুরু হয় নাটকের নতুন অঙ্ক।

সন্ধে ছটা থেকে নতুন করে শুরু হয় জলঘোলা। সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন। এব সেখানে তিনি কার্যত স্পষ্ট করে দেন, নন্দীগ্রামে হার তিনি স্বীকার করে নিচ্ছেন। তবে একই সঙ্গে আদালতে যাওয়ার কথা তিনি বলেন। কিন্তু তিনি নন্দীগ্রামের গণনা নিয়ে আদালতে যাবেন, না কি সার্বিক ভাবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সংবিধান বেঞ্চে মামলা করবেন তা স্পষ্ট হয়নি।

গোটা পশ্চিমবঙ্গের নজর নন্দীগ্রামে

এ দিকে নির্বাচন কমিশন রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ফলে নতুন করে শুভেন্দুর জয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। তারই মধ্যে রাত দশটা নাগাদ শুভেন্দু জানান, তিনি গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছেন সার্টিফিকেট নিতে। কিন্তু রাস্তায় তার উপর হামলা হয়। তার গাড়ির ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে তিনি ফিরে যান। এর কিছুক্ষণ পরে অন্য লোক গিয়ে গণনা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে জয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের ওয়েবসাইটেও বলা হয় ১৭৩৬ ভোটে শেষ রাউন্ডে জিতেছেন শুভেন্দু। এরপরেই পরিষ্কার হয়, শুভেন্দুই নন্দীগ্রামে জয়ী।

সূত্র জানাচ্ছে, ঘনিষ্ঠ মহলে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তৃণমূল ১৯টি ইভিএম আটকে রেখেছিল। সে কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বা অন্য কোনো সূত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

রাতেই তৃণমূলের তরফে ডেরেক ওব্রায়েন, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়দের সই করা চিঠি যায় নির্বাচন কমিশনে। সেখানে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো