জঙ্গি দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করবে পাকিস্তান
২০ আগস্ট ২০১০পাকিস্তানের ইসলামি জঙ্গিদের দখলকৃত অঞ্চল ছাড়াও প্রত্যন্ত যেসব অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলো ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত সেগুলোতেও জঙ্গিরা আধিপত্য বিস্তার করে ফেলতে পারে - এই আশঙ্কা পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যেও রয়েছে৷ আর সেজন্যেই আন্তর্জাতিক বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এবং নিজেদের উৎকন্ঠা মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নেয়া ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান৷
ইসলামি জঙ্গি দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো বন্যার ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নেয়ার ফলে শুধু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেই তাদের আধিপত্য বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে তা নয়, বরঞ্চ সরকার দেশের অভ্যন্তরে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে তাতেও শেষ পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নেয়ার প্রভাব পরতে পারে, অর্থাৎ সরকারের ঢিলেমি চলে আসতে পারে৷ এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ত্রাণ তৎপরতায় দেশের সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করলেও, আফগান সীমান্ত সংলগ্ন পাকিস্তানের যে সব অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যরা লড়াই করছে, সেই সব অঞ্চল থেকে যেন সৈন্য প্রত্যাহার করা না হয়৷ এর উত্তরও দিয়েছে পাকিস্তান৷ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তা করা হবে না৷
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ইসলামি জঙ্গিদের ত্রাণ তৎপরতা পাকিস্তান সরকারের চালানো ত্রাণ তৎপরতার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন৷ আর ইসলামি জঙ্গিদের দাতব্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত এবারই যে প্রথম নেয়া হলো তা নয়, এর আগেও এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তবে নাম বদলিয়ে আবারও তৎপর হয়েছে এইসব দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো৷ সরকার তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধে একটু ঢিলে দিলেই আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠেছে তারা৷
এদিকে, পাকিস্তানের বন্যা দুর্গতদের জন্যে ভারতের খাদ্য ত্রাণ সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান৷ ভারত পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে৷ পাকিস্তান বলেছে ভারতের এই প্রস্তাব প্রশংসনীয়৷ অন্যদিকে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলো দুর্গতদের জন্যে পশ্চিমা সাহায্য প্রত্যাখ্যান করতে বলেছে সরকারকে৷ যুক্তরাষ্ট্র দুর্গতদের জন্য সাহায্যের পরিমান বাড়ানোর পরই, জঙ্গিরা সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানায়৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ