ছুটি কাটাতে চলে যান জার্মানির পর্বতমালায়
জার্মানির একেবারে দক্ষিণে বাভারিয়ার আলপস পর্বতমালায় প্রকৃতি প্রেমীদের উপভোগ করার জন্য রয়েছে অনেক কিছু৷ তাই চলুন, যাওয়া যাক জার্মানির উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গে, হাঁটা যাক আলপস পর্তমালার এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে৷
দারুণ অভিজ্ঞতা
জার্মানির সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের চূড়া বা পর্বতশৃঙ্গের নাম ‘সুগস্পিৎসে’ যার উচ্চতা ২৯৬২ মিটার৷ সেই সুউচ্চ শিখরে আরোহণের জন্য বেশ কয়েকটি রাস্তা রয়েছে৷ কোনোটা বেশ খাড়া, কোনোটা আবার ততটা দুর্গম নয়৷ যে যাঁর পছন্দমতো যে কোনো একটা পথ বেছে নিতে পারেন৷
সহজ উপায়
তবে একেবারে সহজ উপায়ে, কোনোরকম কষ্ট না করে পর্যটকদের সুগস্পিৎসের ওপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য গত ৮০ বছর যাবত রয়েছে দাঁত লাগানো লম্বা একটা গাড়ি বা ট্রেন৷ সেখান থেকে পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় যেতে হলে ব্যবহার করতে হয় বৈদ্যুতিক ‘কেবেল কার’৷
ইচ্ছামতো সাইকেল চালানো
সাইকেল চালকদের জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, অর্থাৎ পুরো জায়গাটাতেই সুন্দরভাবে সাইকেল চালানোর জন্য সাইনবোর্ড দেওয়া আছে৷ সেইসব মেনে যেভাবে খুশি যেতে পারেন, পারেন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে৷ এভাবে চললে হারিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই৷
পরিবার বান্ধব
৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে পরিবারসহ ঘুরে বেড়ানোর জন্য খুবই সুন্দর জায়গা এটি, যেখানে মনের আনন্দে বেশ কয়েকদিন ঘুরে বেড়ানো যায় সবাইকে নিয়ে৷ ছোট-বড় সকলেরই বেশ একটা ‘অ্যাডভেঞ্চার’ হয় এখানে এলে৷
আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য
এই উপত্যকার ভেতর দিয়ে নীচের হ্রদ পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা প্রায় ১০৬০ মিটার৷ চারিদিকের দৃশ্যও খুব মনোরম৷ এছাড়া, হ্রদের স্বচ্ছ ঠান্ডা পানি গ্রীষ্মের ঝলমলে রোদের দিনে পর্যটকদের সাঁতার কাটতে আমন্ত্রণ জানায়৷
পর্বত আরোহীদের গন্তব্য
যাঁরা পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠতে পছন্দ করেন, তাঁদের কাছেও এই এলাকাটি খুবই প্রিয়৷ বলা বাহুল্য, যাঁদের যথেষ্ট ধৈর্য, সাহস এবং সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধু তারাই এই পাহাড়ের পশ্চিম দিকে ঘোরানো চূড়ায় উঠতে পারেন৷
ওপর থেকে দেখা
অবশ্য আগেই যেমন বললাম, বৈদ্যুতিক ‘কেবেল কার’-এর মাধ্যমেই সবচেয়ে আরাম করে ২৩৪৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছানো যায়৷ দেখা যায় জার্মানির বাভারিয়া আর অস্ট্রিয়ার ট্রিওল-এর অপরূপ দৃশ্য৷