ছুটির পর বন্ধ যোগাযোগ, দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন
২৪ মার্চ ২০২০সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সব গণপরিবহন ‘লকডাউন করার' সিদ্ধান্তের কথা জানান বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
ট্রাক, কভার্ডভ্যান, ঔষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি ও পচনশীল পণ্য পরিবহণ এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে৷ তবে পণ্যবাহী কোনো যানে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না৷
এদিকে, মঙ্গলবার বিকাল থেকেই যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ৷
সর্বশেষ এদিন স্থানীয় সময় দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সবধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়৷
যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে৷
বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত ৩৩ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে৷ মারা গেছেন তিন জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ জন৷
বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নেওয়া কভিড-১৯ রোগ দেশে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধে সোমবার সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে পাঁচ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়৷ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে মিলে এবং মাঝে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ছুটি ১০ দিন৷
হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবা সংস্থাগুলো এই ছুটির আওতায় নয়৷ খোলা থাকবে ব্যাংক৷
সরকার এই ১০ দিন জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্যে দেশজুড়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামতে শুরু করেছে বলেও জানায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর গণপরিবহনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে মানুষের অস্বাভাবিক ভিড় দেখা যায়৷
চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একের পর এক দেশ লকডাউনে চলে যাচ্ছে৷ এ সময়ে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের জেল-জরিমানাসহ নানা শাস্তি দেয়া হচ্ছে৷
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারও কভিড-১৯ কে সংক্রামক ব্যাধির তালিকায় যুক্ত করে ২৩ মার্চ গেজেট প্রকাশ করে৷ ফলে এখন যদি কেউ ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তবে আইনের আওতায় তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে৷
এসএনএল/কেএম