ছবিতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তাঁর অভিনয় শৈলী দিয়ে তিনটি গোল্ডেন গ্লোব, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন৷
ছোট্ট অ্যাঞ্জি
১৯৭৫ সাল যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস শহরে জন্ম অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভটের৷ বাবা জোনাথন ভিনসেন্ট ভট ও মা মার্শেলিন বার্ট্রান্ড, দুজনেই ছিলেন অভিনয়ের সাথে জড়িত৷ মা-বাবা বহু শখ করে মেয়ের নাম রাখেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি৷ গ্রিক ভাষায় ‘অ্যাঞ্জেলিনা’ শব্দের অর্থ ‘দেবদূত’৷ ফরাসি ভাষায় ‘জোলি’ শব্দের অর্থ ‘অপরূপা’৷
পর্দায় পা
টিভি অভিনেত্রী মায়ের সাথে বসে সিনেমা দেখে দেখেই রূপালি পর্দায় আগ্রহ জন্মে জোলির৷ তবে সিনেমা জগতে প্রথম প্রবেশ বাবার হাত ধরে৷ মাত্র পাঁচ বছর বয়সে, ১৯৮২ সালে ‘লুকিং টু গেট আউট’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে উপস্থিত হন তিনি৷ সিনেমাটি জোলির বাবা ভন্টের চিত্রনাট্য দিয়েই নির্মিত একচি চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন ভন্ট৷
পেশাদার শিল্পী
১৯৯৩ সালে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জোলি৷ স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ টু-তে অভিনয় করেন তিনি৷ ১৯৯৫ সালে ‘হ্যাকারস’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন৷ ১৯৯৯ সালে নাট্য চলচ্চিত্র ‘গার্ল, ইন্টারাপ্টেড’-এ দারুণ অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান৷
লারা ক্রফট
২০০১ সালে ভিডিও গেম নায়িকা লারা ক্রফটের চরিত্র নিয়ে ‘লারা ক্রফট: টুম্ব রেইডার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় তাঁর তারকাখ্যাতি আরো বাড়িয়ে দেয়৷ মূলত এরপর থেকেই হলিউডের অন্যতম ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন জোলি৷ ব্যবসায়িক হিসেবে জোলির সবচেয়ে সফল দুটি চলচ্চিত্র ২০০৫ সালের অ্যাকশন কমেডি ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ এবং ২০০৮ সালের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘কুং ফু পান্ডা’৷
পুরস্কার, সম্মাননা
১৯৯৮ সালে জর্জ ওয়ালেস চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পান জোলি৷ পরের বছর ‘জিয়া’ চলচ্চিত্রের জন্য পান দ্বিতীয় গোল্ডেন গ্লোব৷ ‘গার্ল, ইন্টেরাপ্টেড’ চলচ্চিত্রের জন্য ২০০০ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অ্যাকাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পেয়েছেন জোলি৷
মানবতার সেবা
২০০১ সালে কম্বোডিয়ায় লারা ক্রফটের শুটিং চলার সময় মানুষের কষ্ট জোলির মনে গভীর দাগ কাটে৷ পরে নিজেই ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস- ইউএনএইচসিআর-এর সাথে যোগাযোগ করে নিজের আগ্রহের ব্যাপারে জানান৷ সে বছরেরই ২৭ অগাস্ট তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সম্মানিত করে ইউএনএইচসিআর৷ ২০১২ সালে ইউএনএইচসিআর তাঁকে ‘স্পেশাল এনভয়’ হিসেবে পদোন্নতি দেয়৷
ব্যক্তিজীবন
জোলি তিনবার বিয়ে করেছেন৷ প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার বিয়ে হয় জনপ্রিয় ব্র্যাড পিটের সঙ্গে৷ জোলি-পিট দাম্পত্য বিশ্বের গণমাধ্যমে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামে৷ পিটের সাথে ছয় সন্তান রয়েছে জোলির৷ নিজের সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান ছাড়াও দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা৷