1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন-মিয়ানমার

৩ জুন ২০১২

এই সেদিন পর্যন্ত চীন ছিল মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী৷ কিন্তু মিয়ানমার সরকারের সর্বাধুনিক সংস্কার নীতি দেশটিকে বহির্বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নজরে আনছে, যার দামটা দিতে হতে পারে বেইজিং’কে৷

https://p.dw.com/p/1579i
Myanmar's President Thein Sein (L) and United Nations Secretary General Ban Ki-moon shake hands before their meeting at the Presidential Palace in Naypyitaw April 30, 2012. Ban met Myanmar Thein Sein on Monday to offer international help for reform in the long-isolated state and will later become the first foreign dignitary to address its fledgling parliament. REUTERS/Soe Zeya Tun (MYANMAR - Tags: POLITICS TPX IMAGES OF THE DAY PROFILE)
গত বছর জাতিসংঘের মহাসচিবের সফর দিয়ে মিয়ানমারের নতুন যাত্রাছবি: Reuters

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তেইন সেইন প্রথম যে কাজটি করেন সে'টি হল, মায়িতসোনে বাঁধ প্রকল্পটি বাতিল করা৷ ওদিকে ঐ বাঁধ প্রকল্প ছিল মিয়ানমারে চীনের বৃহত্তম বিনিয়োগ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি৷ ইরাবতী নদীর এই বাঁধ থেকে দক্ষিণ চীনের প্রদেশগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবার কথা ছিল৷

তেইন সেইন বাঁধ প্রকল্প বাতিল করে এক ঢিলে দুই পাখি মারেন: প্রথমত পশ্চিমকে জানান দেন যে, মিয়ানমার পশ্চিমি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত; দ্বিতীয়ত, তিনি মিয়ানমারের জনগণের সহানুভূতি পান, কেননা মিয়ানামারের মানুষ চীনকে বিশেষ ভালো চোখে দেখে না৷

Myanmar President Thein Sein, left, confers with Indian Prime Minister Manmohan Singh as they inspect the guard of honor before their meeting at presidential house in Naypyitaw, Myanmar, Monday, May 28, 2012. Singh arrived here Sunday on a three-day visit that underscores India's quest for energy supplies and concerns about China's strong influence in the Southeast Asian country. (AP Photo/Khin Maung Win)
মিয়ানমারে গণতন্ত্রের সুযোগ কাজে লাগাতে চান ভারতের প্রধানমন্ত্রীছবি: dapd

চীন নব্বই'এর দশকের গোড়া থেকে মিয়ানমারে বিনিয়োগ করে আসছে প্রায় বিনা প্রতিযোগিতায়৷ কিন্তু ২০১০ সাল থেকে মিয়ানমারে যে পরিবর্তনের জোয়ার এসেছে, তা'তে চীনকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে৷ অপরদিকে বাঁধ প্রকল্প বাতিল হওয়ায় চীন কিছুটা ক্ষুণ্ণ হলেও, তাদের মিয়ানমারে একাধিক অন্য প্রকল্প রয়েছে, যেমন একটি পাইপলাইন প্রকল্প ও একটি রেলপথ প্রকল্প৷

এছাড়া মিয়ানমারের উন্মোচন ও বিকাশের ফলে অর্থনৈতিক বিচারে চীনের লাভ বৈ ক্ষতি হবার কোনো কারণ নেই৷ মিয়ানমারের এই পরিবর্তন যদি দেশটিতে আরো বেশি স্থায়িত্ব আনে, তা'তেও চীনের লাভ৷ চীন চায় তার সীমান্তে স্থায়িত্ব ও স্থিতিশীলতা৷ কাজেই মিয়ানমারে গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো ধরণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, চীনের তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই৷

In this Wednesday, June 2, 2010 photo, a staff of Chinese Embassy in Yangon presents bouquet to Chinese Premier Wen Jiabao at Yangon International Airport in Yangon, Myanmar. Wen arrived Wednesday in military-ruled Myanmar for a two-day official visit, the first by such a high-ranking Chinese figure in almost a decade. (AP Photo)
দুই বছর আগে চীনা প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সফর করেনছবি: AP

অপরদিকে চীন এ'অঞ্চলের মুখ্য অর্থনৈতিক শক্তি৷ চীনে এখন যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক বিকাশ চলেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে লাভবান হতে আগ্রহী হবে৷ তফাতটা শুধু এই: অতীতে মিয়ানমারের ওপরতলার মানুষরাই শুধু চীনা সহযোগিতা থেকে উপকৃত হয়েছে৷ এবার হয়তো দেশের বাকি মানুষরাও তার উপকার পাবে৷

প্রতিবেদন: ক্রিস্টফ রিকিং/রডিয়ন এবিংহাউজেন/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য