চীনে নিহত ৩১
২২ মে ২০১৪এ ঘটনাকে ‘বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা' হিসাবে উল্লেখ করে সন্ত্রাসীদের দমনে আরো কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন সরকার৷
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ শিনচিয়াংয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর জন্য স্থানীয় উইগুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে আসছে কর্তৃপক্ষ৷
সংখ্যালঘু উইগুর মুসলিমরা দীর্ঘদিন ধরেই চীন থেকে আলাদা হওয়ার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে৷ গত এক বছরে সেখানে সহিংসতায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে দুটি গাড়ি নিয়ে হামলাকারীরা ব্যস্ত বাজারের একটি অংশে সারি সারি সবজি দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং একের পর এক বোমা ছুড়তে থাকে৷
এরই এক পর্যায়ে একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয় এবং চারদিকে আগুনের হল্কা ছড়িয়ে পড়ে৷ পরে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়৷
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘বাতাসে তখন শুধু বারুদের গন্ধ৷ আহতদের অনেকেই ফুপিয়ে কাঁদছিলেন৷ নিহতদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক মানুষ৷ সকাল বেলা তাঁরা বাজার করতে এসেছিলেন৷''
হামলা শুরুর পর পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ ছুটোছুটি শুরু করে৷ একজন ব্যবসায়ী জানান, তিনি ডজনখানেক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন৷
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেছেন, সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কোনো চেষ্টা সহ্য করা হবে না৷
মূলবান খনিজ সমৃদ্ধ শিনচিয়াংয়ের অধিবাসীদের ৪৫ শতাংশই উইগুর, যাঁরা জাতিগতভাবে তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম৷ চীনের হান সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রায়ই তাঁদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে৷ ২০০৯ সালে উরুমচিতে এই দুই সম্প্রদায়ের দাঙ্গায় নিহত হন অন্তত ২০০ জন৷
গত মার্চে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে কুনমিং শহরে এক রেলস্টেশনে হামলার ঘটনায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হন ২৯ জন৷ বলা বাহুল্য, ওই ঘটনার জন্যও উইগুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে আসছে চীন সরকার৷
জেকে/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)