চিলিতে ভারতীয় বিমান ছিনতাইকারী ধৃত বলে দাবি
১৪ এপ্রিল ২০১১ভুয়ো ভিসা নিয়ে সেদেশে ঢোকার অপরাধে চিলির পুলিশ আবদুল রাউফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করে৷ অভিযোগ ১৯৯৯-এর ২৪শে ডিসেম্বর কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসার পথে ১৬০ জন যাত্রি সমেত ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের আইসি-৮১৪ বিমানটি যারা ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহার নিয়ে গিয়েছিল, তাদের একজন ছিল এই আবদুল রাউফ৷ চিলি কর্তৃপক্ষ ইন্টারপোলের মাধ্যমে এবিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে জানায় এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ নিয়ে ঐ ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে বলেন৷ সিবিআই-এর একটি দল ইতিমধ্যেই চিলিতে গিয়ে পৌঁছেছে ঐ ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা বলেছেন, সনাক্ত করার পরই পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে৷ চিলি সরকার জানিয়েছে সনাক্তকরণের পর ভারত চাইলে রাউফকে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে৷
অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, বিমান ছিনতাই-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যে রাউফকে ধরা হয়েছে সে অন্য ব্যক্তি৷ আসল ব্যক্তি বহাল তবিয়তে আছেন রাওয়ালপিন্ডিতে৷ পাকিস্তানকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটা ভারতের এক নোংরা চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান৷ ধৃত আবদুল রাউফ কোনভাবেই বিমান ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এবং জয়শ-ই-মহম্মদ বা অন্য কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়৷
ছিনতাই-এর অব্যবহিত পরেই ভারত সার্ক কনভেনশনের নীতিমালা অনুসারে ছিনতাইকারীদের প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তানের কাছে, কিন্তু পাকিস্তান তাতে কান দেয়নি৷ ভারত ইন্টারপোলের শরণাপন্ন হলে ইন্টারপোল জারি করে রেড কর্নার নোটিশ৷
আটদিন ধরে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জেলবন্দি তিনজন কট্টর সন্ত্রাসীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় অটল বিহারি বাজপেয়ীর তৎকালীন বিজেপি সরকার৷ যে তিনজন সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া হয়, তার অন্যতম পাকিস্তান-ভিত্তিক জয়শ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহার৷ ধৃত আবদুল রাউফ সম্পর্কে মাসুদ আজহারের ভাই৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন