চিলিতে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ
১২ মার্চ ২০১০বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়৷ এরপর চার ঘন্টা ধরে একটার পর একটা কম্পন অনুভূত হতে থাকে৷ এর মধ্যে সর্ব্বোচ্চ ৬.৯ মাত্রার একটি কম্পন ছিল৷ উল্লেখ্য, গত মাসেই দেশটিতে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যে ভূমিকম্পে প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়েছিল৷ এরপর থেকে এপর্যন্ত চিলিতে ২০০-টিরও বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে৷ তবে বৃহস্পতিবারের কম্পনগুলোই সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল বলে জানা গেছে৷
কম্পনগুলো হয় দেশটির মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়৷ এসময় ঐ এলাকার জনগণের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়৷ সবাই ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে৷ তবে প্রাথমিকভাবে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি৷ এদিকে কম্পনের কারণে উপকুলীয় অঞ্চল জুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়৷
এদিকে দিনটি ছিল নতুন প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার শপথ নেওয়ার দিন৷ তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল উপকুলীয় শহর ভালপারাইসোতে৷ ঐ অনুষ্ঠানেও কম্পন অনুভূত হয়৷ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আমেরিকার সাতটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন৷ কম্পনের কারণে তাড়াহুড়ো করে অনুষ্ঠান শেষ করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ শপথগ্রহণ শেষে পিনেরা একটি খোলা গাড়িতে করে জনগণের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন৷ কিন্তু জনগণ তখন সুনামি সতর্কতার কারণে ঐ অঞ্চল থেকে পালানোর কাজে ব্যস্ত ছিল৷
নতুন প্রেসিডেন্ট পিনেরা চিলির একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী৷ মাত্রই প্রকাশিত হওয়া ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামের তালিকায় পিনেরার অবস্থান ৪৩৭তম৷ শপথ নেওয়ার পরপরই পিনেরা দেশটির পুনর্গঠনে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷ তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভূমিকম্পের সরকার হবেনা, হবে পুনর্গঠনের সরকার৷
পিনেরা বলেন, পূর্বসুরী মিশেল বাচেলেটের রেখে যাওয়া নীতির উপর ভিত্তি করেই তাঁর সরকার কাজ করে যাবে৷ উল্লেখ্য, বামপন্থী বাচেলেট অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন নেত্রী ছিলেন৷ তিনি চিলির জনগণের মা হিসেবে বিবেচিত হতেন৷ বাচেলেটকে বিদায় জানানোর সময় একজন সমর্থক তার ব্যানারে তাঁকে পরবর্তী নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার আহ্বান জানিয়েছে৷
প্রতিবেদন- জাহিদুল হক
সম্পাদনা - সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়